নারী ফুটবলে প্রবাসী নয়, স্থানীয়দের ওপরই আস্থা বাফুফের

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। এই আলোচনার অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি এবং কানাডা জাতীয় ফুটবল দলে খেলা সামিত সোম। এই দুই জনের বাংলাদেশ দলের অর্ন্তভুক্তি পুরো ফুটবল আবহ বদলে দিয়েছে।

২৮-৩০ জুন ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪০ জনের বেশি প্রবাসী ফুটবলার ট্রায়ালে আসার কথা। বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বিষয়টি দেখভাল করছেন। পুরুষ ফুটবলারদের পাশাপাশি ২-১ জন নারী প্রবাসী ফুটবলারের আশার কথা রয়েছে।

এ নিয়ে কিরণের মন্তব্য, 'এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ফাহাদ ভাই মূলত বিষয়টি দেখছেন। একজন নারী ফুটবলার (আনিকা) নিয়ে একবার আলোচনা হয়েছিল। তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু জটিলতা থাকায় বিষয়টি এখনো এগোয়নি। জামাল ভূঁইয়া সেই ফুটবলারের ব্যাপারে বলেছিল।'

আধুনিক ফুটবল বিশ্বে প্রবাসী ও ন্যাচারালাইজড ফুটবলার বেশ স্বাভাবিক ঘটনা। বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধানও বিষটি স্বাভাবিকভাবেই দেখলেও তিনি স্থানীয়দের প্রাধান্য দিতে চান, 'প্রবাসী ফুটবলারদের দলে নেওয়া নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই যদি ভালো হয়। তারাও বাংলাদেশি। তবে আমাদের ফোকাস অলওয়েজ লোকাল ফুটবলারে। আমি সব সময় আমার দেশকে ডেভলপ করতে চাই। ওরাও আমার দেশ কিন্তু ওরা যেহেতু এখানে থাকে না বাইরে থেকে ডেকে নিয়ে এসে সিজনাল (মৌসুমী) রেজাল্ট করতে.. যদি হয় ভালো তবে আমি আমার প্রডাক্টকে (স্থানীয় ফুটবলার) ডেভলপ করতে চাই।'

গত এক দশকে বাংলাদেশের ফুটবলের আলোকবর্তিকা ছিল নারী ফুটবলারদের হাতে। বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে সাফে শিরোপা, টানা দুই বার অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে এশিয়ার সেরা আটে খেলা, ২০২২ ও '২৪ সালে টানা দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়নের কৃত্তিত্ব নারী ফুটবল দলের। সাফ চ্যাম্পিয়ন দলে জাপানি বংশোদ্ভুত সুমাইয়া মাতসুসিমা বাংলাদেশ দলে ছিলেন।দ

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল টানা দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়ন। এখন দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে এশিয়ার বড় মঞ্চে চোখ বাংলাদেশের। সম্প্রতি শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের সঙ্গে ফিফা প্রীতি ম্যাচে ড্র করেছে। এতে বাংলাদেশের র‍্যাংকিং ১৩৩ থেকে ৫ ধাপ কমে ১২৮ হয়েছে। বাফুফে নারী দলকে সামনে আরো বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলানোর আয়োজন করতে চায়স


পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকে শোকজ Jun 16, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, কমতে পারে গরম Jun 16, 2025
img
কখনও কখনও যুদ্ধের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হয় : ট্রাম্প Jun 16, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দুবাই, ঢাকা ২৩তম Jun 16, 2025
img
এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে যা জানালেন আমির খান Jun 16, 2025
img
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করায় ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা Jun 16, 2025
img
চলতি বছর থেকেই চালু হতে পারে রূপপুরের প্রথম ইউনিট Jun 16, 2025
img
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দল Jun 16, 2025
img
বিএনপি দুর্বল নয়, এই দল পুলিশের ভোটে সরকার গঠন করতে চায় না: জি কে গউছ Jun 16, 2025
img
মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে নিয়ে এনসিপির শোকবার্তা Jun 16, 2025
img
ইসরায়েলের দিকে ছুটে যাচ্ছে ইরানের মিসাইল Jun 16, 2025
img
বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ইরানের ফোর্দো পরমাণু কেন্দ্রে Jun 16, 2025
img
‘দখলকৃত অঞ্চল ছাড়ো, এগুলো বাসযোগ্য থাকবে না’ Jun 16, 2025
img
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ Jun 16, 2025
img
পিএসজির কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত অ্যাতলেটিকো Jun 16, 2025
img
আরও বেদনাদায়ক জবাব অপেক্ষা করছে : ইরানের প্রেসিডেন্ট Jun 16, 2025
img
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ৫০ টি ক্ষেপণাস্ত্র চালাল ইরান Jun 16, 2025
img
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অস্বীকৃতি জানাল ইরান Jun 16, 2025
img
গোয়েন্দা প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল ইরান Jun 16, 2025
img
‘নিজেদের ছাড়া কাউকে ভরসা করা যাবে না’ Jun 16, 2025