কখনও কখনও যুদ্ধের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হয় : ট্রাম্প

কখনও কখনও দেশগুলোকে যুদ্ধ করেই সমস্যার সমাধান করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যখন হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘাত তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন এই মন্তব্য করলেন তিনি।

এছাড়া ইসরায়েল ও ইরান একসময় সমঝোতায় পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। সোমবার (১৬ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আশা করেন ইসরায়েল ও ইরান একসময় একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে। তবে কখনও কখনও দেশগুলোর মধ্যে আগে যুদ্ধ বাধেই এবং যুদ্ধ করেই সমস্যার সমাধান করতে হয়।

জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে আছে এবং থাকবে। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি, তিনি ইসরায়েলকে ইরানের ওপর হামলা বন্ধ করতে বলেছেন কিনা।

রোববার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টেও ট্রাম্প একই রকম মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “ইরান ও ইসরায়েলকে একটা সমঝোতায় আসতেই হবে এবং তারা আসবেই।”

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার একটি পরিকল্পনায় সায় দেননি বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস। তারা বলছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওই পরিকল্পনা সামনে এনেছিলেন।

তিনটি সূত্র সিবিএস-কে জানায়, গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে একটি আলোচনা হয়, যেখানে ট্রাম্প খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনাকে ভালো সিদ্ধান্ত মনে করেননি। তবে ট্রাম্প এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

একই বিষয়ে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু রয়টার্সের প্রতিবেদনটি সরাসরি অস্বীকার বা স্বীকার কোনোটিই করেননি, যেখানে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছিলেন।

নেতানিয়াহু বলেন, “অনেক কথোপকথন নিয়েই ভুল প্রতিবেদন আসে, যেগুলো আসলে ঘটেইনি। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। তবে আমি এটুকু বলব, আমরা যা করার দরকার, তা করব। এবং আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্বার্থ ভালো বোঝে। তাই আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলছি না।”

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এবারের নির্বাচনে পোস্টাল ভোটিংসহ বহু নতুন বিষয় : সিইসি Nov 16, 2025
img
বরিশালে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলছে বাস ধর্মঘট Nov 16, 2025
img
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম জড়ানো প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নোরা ফাতেহি Nov 16, 2025
img
শিক্ষাঙ্গণকে নতুন চিন্তা ও স্বপ্নের মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে : আমিনুল হক Nov 16, 2025
img
পাওনা দিতে পারলে শিল্পটা আজ হারিয়ে যেত না: জয়া আহসান Nov 16, 2025
img
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯ Nov 16, 2025
img
রাজামৌলীর বারাণসীর শিরোনাম ভিডিও প্রকাশ হতেই আলোচনার ঝড় Nov 16, 2025
img
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ডিবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক Nov 16, 2025
img
আসিফ ইস্যুতে বাফুফের কাছে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ Nov 16, 2025
img
১০০ গোলও ব্যালন ডি’অর জেতার জন্য যথেষ্ট নয় : কেইন Nov 16, 2025
img
কন্যাসন্তান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে আবারও সমালোচনার মুখে কঙ্গনা Nov 16, 2025
img
এমন এনার্জি নিচ্ছি, ২-৩ দিন ঘুমই আসে না : নুসরাত ফারিয়া Nov 16, 2025
img
যশোরে পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষা ক্যাডার শিক্ষকদের কর্মবিরতি Nov 16, 2025
img
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চাচ্ছে : রিজভী Nov 16, 2025
img
মওলানা ভাসানী যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে: মির্জা ফখরুল Nov 16, 2025
img
ভারতকে গুঁড়িয়ে কলকাতায় শেষ হাসি দক্ষিণ আফ্রিকার Nov 16, 2025
img
'টেস্ট ক্রিকেটের অবমাননা' বলে কলকাতার পিচের সমালোচনায় হরভজন Nov 16, 2025
img
সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : এ এম এম নাসির উদ্দিন Nov 16, 2025
img
সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ Nov 16, 2025
img
রোনালদোর নিষেধাজ্ঞা কমাতে আনুষ্ঠানিক আপিল করবে পর্তুগাল Nov 16, 2025