মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিতের পর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে : মাসুদ

একক কোনো দলের প্রতি আনুগত্যশীল না হয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

আজ সোমবার (১৬ জুন) গেণ্ডারিয়া-ওয়ারী জোনের থানা ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গণতন্ত্রকামী সব দলের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সর্বজন শ্রদ্ধেয়। সেই শ্রদ্ধা ও আস্থা থেকে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে তিনি জাতির প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন।

মাসুদ বলেন, একক কোনো গোষ্ঠী বা দলের প্রতি আনুগত্যশীল হলে, জাতির প্রত্যাশা বিনষ্ট হবে। দেশ আবারও পথ হারাবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চেয়েও ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের মুখের ভাষা ও চোখের ভাষা বুঝতে হবে।

ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের অতীতের চেয়ে আরও বেশি ত্যাগ ও কোরবানির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, মহান আল্লাহ মানব জাতির জন্য কল্যাণকর একটি বিধান ঠিক করে দিয়েছেন আর তা হলো ইসলাম। তাই আমাদের জীবনে ইসলামের হুকুম ও বিধানগুলো পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। ত্যাগের মহিমায় অনুপ্রাণিত হয়ে যেভাবে আমরা পশু কোরবানি করেছি, অনুরূপভাবে ইকামাতে দ্বীনের বিজয়ে আমাদের যেকোনো ত্যাগ কোরবানি করতে হবে।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগর সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা মীর আমিরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, গোলাম আজম, কামরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দ্রুত ইসরায়েল ছাড়ার নির্দেশ চীনা নাগরিকদের Jun 17, 2025
img
এবার ঘনবসতিপূর্ণ পূর্ব তেহরানে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল Jun 17, 2025
img
খাদ্যে বিষক্রিয়া: ইতালিতে ২১ ফুটবলার অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি ১৬ Jun 17, 2025
img
বাহরাইনে ৭ বছর ধরে ভিসা বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশিরাও Jun 17, 2025
img
জয় দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করল চেলসি Jun 17, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় ৬৬তম ঢাকা, শীর্ষে রয়েছে বাগদাদ Jun 17, 2025
img
৩ দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার Jun 17, 2025
img
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ডিপফেক ভিডিও এড়িয়ে চলার অনুরোধ Jun 17, 2025
img
আমির খানের চরিত্রে অভিনয় নয়, নিজের পথে হাঁটতে চান জুনেইদ Jun 17, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড Jun 17, 2025
img
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মালবাহী ট্রলারডুবি Jun 17, 2025
img
দুপুরের মধ্যে ৮ জেলায় ঝড়ের আভাস Jun 17, 2025
img
ইসরায়েলে বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন, আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে মানুষ Jun 17, 2025
img
হোয়াইট হাউজে সিচুয়েশন রুমে জরুরি বৈঠক Jun 17, 2025
img
জি-৭ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরছেন ট্রাম্প Jun 17, 2025
img
ইসরায়েলি শহর খালি করার নির্দেশ বিপ্লবী গার্ডের Jun 17, 2025
img
তেহরানে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ দূতাবাস Jun 17, 2025
img
তেহরানের পূর্বাংশে বিস্ফোরণ Jun 17, 2025
img
তেলুগু হিট দিয়েও কেন পিছিয়ে পড়লেন ঐশ্বরিয়া রাজেশ Jun 17, 2025
img
ভূতের ভয় ক্যাটরিনার Jun 17, 2025