গুম তদন্তে জাতিসংঘকে পাশে চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

গত দেড় দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্তে জাতিসংঘের যেকোনো ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, আমি চাই, জাতিসংঘ আমাদের চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হোক। এতে তদন্ত প্রক্রিয়াটি আরও শক্তিশালী হবে।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের গুম বা নিখোঁজ বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ (ডব্লিউজিআইডি)-এর ভাইস-চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোস্কা এবং সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাদিয়ো পেরেজ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাতে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা গুম প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ সনদ (আইসিপিপিইডি)-এ বাংলাদেশের সংযুক্তি এবং গঠিত তদন্ত কমিশনের কার্যক্রমকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এ বিষয়ে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, সরকার তদন্ত কমিশনের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, তাদের নানা হুমকি সত্ত্বেও কমিশন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছে। সর্বশেষ প্রতিবেদনে আমি প্রস্তাব করেছি, দর্শনার্থীদের জন্য একটি ‘ভয়ের জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠা করা উচিত। এ কাজে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, ১৩ বছর পর জাতিসংঘের একটি দলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা চাই আপনারা তদন্ত কমিশনের পাশে থাকুন, দিকনির্দেশনা দিন ও শক্তি জোগান।

জবাবে গ্রাজিনা বারানোস্কা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে গুম ইস্যুতে কাজ করার চেষ্টা করছে জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপ। তদন্ত কমিশন গঠনের উদ্যোগের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বারানোস্কা বলেন, তদন্ত কমিশন এবং এর কার্যক্রম আপনার সরকারের একটি বড় প্রতিশ্রুতি। এটি আমাদের জন্যও একটি সম্মান।

তিনি জানান, ঢাকার বাইরে গিয়ে তারা ভুক্তভোগী, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img

ওয়ার্ল্ড টেনিস ট্যুর জুনিয়র

ভারতীয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠলেন জারিফ Oct 15, 2025
img
নিষ্ঠার ধারাবাহিকতা হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে সই করবে: আইন উপদেষ্টা Oct 15, 2025
img
জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমিক্যাল মজুত রোধে স্ট্রং পলিসির দাবি Oct 15, 2025
img
গত আট মাসে প্রতিদিন গড়ে ১১ খুন : পুলিশ সদর দপ্তর Oct 15, 2025
img
বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গার বানালো কোন দেশ! Oct 15, 2025
img
‘তুমি এভাবে নাচতে পারো না’, মালাইকার নাচে আপত্তি ছেলের Oct 15, 2025
img
স্বর্ণের এতো দাম যা আগে কখনো দেখেনি বিশ্ব! Oct 15, 2025
img
শক্তিশালী পাসপোর্ট তালিকায় শীর্ষ ১০-এ নেই যুক্তরাষ্ট্র Oct 15, 2025
img
কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে নতুন ১২ দপ্তর Oct 15, 2025
img
কাঠগড়ায় দীপু মনিকে পরামর্শ দিলেন ইনু Oct 15, 2025
কেন শিক্ষকতা পেশা বেছে নিলেন তারা? Oct 15, 2025
খবর নেয় না আলীগ প্রিজন ভ্যানে ক্ষোভ ঝাড়লেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা Oct 15, 2025
img
দাবিদাওয়া আপাতত বন্ধ রাখুন, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না : মির্জা ফখরুল Oct 15, 2025
img
জামায়াত আমিরের সঙ্গে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 15, 2025
img
আমার জানামতে, মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন : ক্রীড়া উপদেষ্টা Oct 15, 2025
img
মা হতে যাচ্ছেন সোনাক্ষী! Oct 15, 2025
img
প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির মামলায় আত্মসমর্পণ করে উধাও রাজউক কর্মকর্তা Oct 15, 2025
img
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 15, 2025
img
চীন-যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা-পাল্টি পদক্ষেপ, বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন মোড় Oct 15, 2025
img
বাংলাদেশের আমের প্রশংসা এফএওতে Oct 15, 2025