যেখানে অনেক অভিনেত্রী ষাট পেরোনো নায়কদের সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করতে ইতস্তত করেন, সেখানে একেবারে উল্টো সুর শোনা গেল ম্রুণাল ঠাকুরের গলায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কমল হাসানের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ এলে তিনি এক পা পিছিয়ে যাবেন না। রোম্যান্টিক চরিত্র হলেও আপত্তি নেই!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ম্রুণাল বলেন, “আমি কমল হাসানের ছবি দেখে বড় হয়েছি। ওনার সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য একটা স্বপ্নের মতো। রোল ছোট হোক বা রোম্যান্টিক — তাতে কিছু যায় আসে না।”
এই মন্তব্য সামনে এল এমন এক সময়ে, যখন কমল হাসানের আসন্ন ছবি ‘থাগ লাইফ’-এ রোম্যান্স দৃশ্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে তৈরি হয়েছে আলোচনা ও বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, বয়সের এমন বিশাল পার্থক্যের জুটিকে মেনে নেওয়া যায় না।
কিন্তু ম্রুণাল ঠাকুর একেবারেই অন্য মেরুর। কোনো রকম অভিযোগ বা শর্ত না দিয়ে, বরং একটানা সম্মান আর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। তার বক্তব্যে ভক্তির পাশাপাশি আছে পেশাদারিত্ব আর সাহস। বলিউডে এমন খোলামেলা মনোভাব খুব কম অভিনেত্রীর মধ্যেই দেখা যায়।
শোনা যাচ্ছে, কমল হাসানের নতুন একটি অ্যাকশন ছবিতে থাকতেও পারেন ম্রুণাল। যদিও কিছুই এখনও নিশ্চিত নয়, তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কানাঘুষো শুরু হয়ে গেছে। যদি খবরটি সত্যি হয়, তবে খুব শিগগিরই সেই ‘স্বপ্ন’ রূপ নিতে পারে বাস্তবে।
সমাজের একাংশ অবশ্য ম্রুণালের মন্তব্যকে সাধুবাদ দিচ্ছে, আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করতেও ছাড়ছেন না। কেউ বলছেন, “এটাই তো পেশাদারিত্ব”, কেউ বা খোঁচা দিচ্ছেন — “কমল হাসান না হলে কি এমন বলতেন?”
তবু, আজকের দিনে যেখানে ‘ইমেজ’ আর ‘অপটিকস’ নিয়ে সবাই সাবধানে পা ফেলেন, সেখানে ম্রুণালের মতো সরল স্পষ্ট মনোভাব এক সতেজ দৃষ্টান্ত। প্রশ্নটা এখন পরিষ্কার — সত্যিই কি বয়স কোনো সমস্যা, নাকি সমাজের চোখই আমাদের আসল বাঁধা?
ম্রুণাল যেন নিজের জবাবে বলেই দিলেন — প্রতিভা আর প্যাশনের সামনে বয়স কখনই বাধা হতে পারে না।
এসএন