চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সির (সিআইডিসিএ) মাধ্যমে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় অর্থায়ন করেছে চীন। এ উপলক্ষে সম্প্রতি ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কার্যালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চীনের এই অনুদানের মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পুষ্টি-সমৃদ্ধ চাল, ডাল ও রান্নার তেল ক্রয় করবে, যা কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য তিন মাসের খাদ্য রেশন হিসেবে সরবরাহ করা হবে।
চীনের এই সহায়তাকে সাদুবাদ জানিয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি বলেন, দেশটির এই পর্যাপ্ত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে। মানবিক প্রয়োজন দিন দিন বেড়ে চলেছে, কিন্তু আমাদের সম্পদ অত্যন্ত সীমিত। এই অবদানের ফলে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে জীবনরক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
এদিকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে এবং মানবিক সংকট মোকাবিলায় এই অনুদান ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন চাইনিজ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন।
ডব্লিউএফপির তথ্যমতে, আগামী এক বছরে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আরও ১২ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। নতুন অর্থায়ন না পাওয়া গেলে ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যেই এই অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি আরও বলেন, আমরা আশা করি এই সহায়তা কেবল আমাদের অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতা নয়, বরং চলমান সংকট মোকাবিলায় চীনের আরও বৃহৎ ভূমিকা পালনের শুরু।
কেএন/টিকে