গত এক দশকে দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা নাগার্জুনা পেয়েছেন মিশ্র সাফল্য। তার ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময়জুড়ে দর্শকপ্রিয়তা থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বক্স অফিসে একাধিক ছবিতে মুখ থুবড়ে পড়েছেন তিনি। তবে ২০২৫ সাল হতে পারে এই বর্ষীয়ান তারকার প্রত্যাবর্তনের মোড় ঘোরানো বছর।
এই বছরে মুক্তি পেতে চলেছে নাগার্জুনার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি—‘কুবেরা’ ও ‘কুলি’। এর পাশাপাশি বহু প্রতীক্ষিত ১০০তম চলচ্চিত্র নিয়েও চলছে প্রস্তুতি ও আলোচনা।
‘সোঘাডে চিন্নি নায়না’ ও ‘ঊপিরি’ বাদ দিলে, গত দশকে তার অধিকাংশ ছবি বক্স অফিসে উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলতে পারেনি। ‘ওম নমো ভেঙ্কটেশায়া’, ‘অফিসার’, ‘দ্য ঘোস্ট’-এর মতো ছবিগুলো দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি ‘মনমধুদু ২’ ও ‘দেবদাস’-এর মতো উচ্চ প্রত্যাশিত ছবিগুলোও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
তবে ‘বাঙ্গাররাজু’ ও ‘না সামি রাঙ্গা’—এই দুই ছবি কিছুটা স্থিতিশীল সাফল্য আনলেও, তা নাগার্জুনার স্বর্ণযুগের ছায়ামাত্র। ফলে ২০২৫ সালকেই নতুন করে নিজেকে প্রমাণের সময় হিসেবে দেখছেন এই অভিনেতা।
নতুন যে দুটি ছবি নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন, তার একটি ‘কুবেরা’। এই ছবিতে ধানুশের সঙ্গে অভিনয় করছেন তিনি এবং পরিচালনায় রয়েছেন শেখর কাম্মুলা। অপরদিকে ‘কুলি’ ছবিতে দেখা যাবে তাকে রজনীকান্তের সঙ্গে, পরিচালনায় রয়েছেন লোকেশ কানাগারাজ। দুটি ছবিরই শুটিং ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং মুক্তির জন্য প্রস্তুত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাগার্জুনা জানিয়েছেন, “এই ছবিগুলো আমাকে অভিনেতা হিসেবে নতুন করে আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছে।” তিনি নাকি এই দুটি ছবির জন্য মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিকও পেয়েছেন, যা প্রমাণ করে এখনো তার ব্র্যান্ড মূল্য অটুট রয়েছে।
এদিকে তার শততম ছবি ঘিরে চলছে বড় প্রস্তুতি। নাগার্জুনা এখন নতুন প্রজন্মের একাধিক পরিচালকের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছেন এমন একটি কাহিনির জন্য, যা তাকে আবারও একক নায়কের অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
তিনি এখনো বিশ্বাস করেন, তিনি কেবল অতিথি চরিত্রের অভিনেতা নন, একজন পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক তারকা। আর সেই সত্যি প্রমাণ করতেই চাইছেন তিনি ২০২৫-এ।
যদি ‘কুবেরা’ ও ‘কুলি’ বক্স অফিসে সাফল্য পায় এবং তার শততম ছবির জন্য উপযুক্ত চিত্রনাট্য বেছে নিতে পারেন, তাহলে শুরু হতে পারে নাগার্জুনার স্টারডমের দ্বিতীয় অধ্যায়। আর তা না হলে “গেস্ট স্টার” তকমাটি থেকে বেরিয়ে আসা হয়তো আর সম্ভব নাও হতে পারে।
এসএম/টিকে