শাহরুখের মান্নাত নিয়ম ‘বহির্ভূত’ কাজ! অভিযোগ, বিলাসবহুল বাড়িটি সংস্কারের সময় উপকূলবর্তী এলাকার নিয়মকানুন মানা হয়নি। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তদন্তে নামেন বৃহন্মুম্বই পুরভা এবং বনদপ্তরের আধিকারিকরা। শুক্রবার মান্নাত হানা দেন তাঁরা।
১৯১৪ সালে তৈরি মন্নত মুম্বইয়ের হেরিটেজ বিল্ডিং। সেখানেই সপরিবারের সংসার সাজিয়েছেন শাহরুখ-গৌরী। সন্তানরা ছাড়াও কিং খানের দিদিও এই বাংলোতেই থাকেন। তবে সম্ভবত ‘জায়গা কম পড়িয়াছে’! তাই মন্নতকে আট তলা করে গৃহসজ্জা বাড়াতে চান তাঁরা। যার খরচ আনুমানিক ২২৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, সন্তোষ দৌন্দকর নামে এক সমাজকর্মী অভিযোগ করেন, নিয়ম না মেনে মন্নত সংস্কার করা হচ্ছে। আইপিএস অফিসার ওয়াই পি সিং শুক্রবার দাবি করেন, হেরিটেজ নিয়মও ভেঙেছেন কিং খান।কারণ মান্নতকে আটতলা করার অনুমতি ছিল না। পরিবর্তে ১২টি ছোট ছোট বিলাসবহুল ফ্ল্যাট তৈরির কথা ছিল। সে নিয়ম নাকি মানা হয়নি। ওই আইপিএস অফিসারের আরও দাবি, বৃহন্মুম্বই পুরসভা কর্তৃপক্ষের সায় না থাকলে এই কাজ করা সম্ভব নয়।
সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শুক্রবার বৃহন্মুম্বই পুরসভা এবং বনদপ্তরের আধিকারিকরা মান্নাত হানা দেন। চতুর্দিক সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, “বাড়ি সংস্কার নিয়ে অনুমতি অনুযায়ী কাজ হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে একদল আধিকারিক আসেন। সরেজমিনে খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।” যদিও শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি নিয়ম না মেনে মন্নত সংস্কারের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্র কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির অনুমতি মেনেই কাজ হয়েছে। কোনও অভিযোগ ওঠা সম্ভবই নয়। আধিকারিকরা কী রিপোর্ট জমা দেয়, সেটাই এখন দেখার।
এফপি/টিএ