ভারতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উঠে আসা বহুপ্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘কুবেরা’ এখন আলোচনার শীর্ষে। মুক্তির পরপরই সিনেমাটি যেমন দর্শকদের মন জয় করেছে, তেমনি শিল্পী মহলেও প্রশংসার জোয়ার বইছে। এবার সেই তালিকায় নাম যুক্ত করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাই পল্লবী।
সম্প্রতি ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক আবেগঘন বার্তায় তিনি ‘কুবেরা’ ছবির টিমকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। পরিচালক শেখর কাম্মুলার নেতৃত্বে নির্মিত এ ছবির প্রতিটি অভিনয়, সুর ও প্রযোজনার প্রতি নিজের অকুণ্ঠ প্রশংসা জানিয়েছেন তিনি। পোস্টটি ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
সাই পল্লবী তার পোস্টে লেখেন, 'কুবেরা অনেক দিক থেকেই আমার কাছে স্পেশাল হয়ে থাকবে।'
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ধানুশ, নাগার্জুনা, রাশমিকা মান্দানা, দেবী শ্রী প্রসাদ এবং পুরো প্রযোজনা দলের অবদান।
ধানুশকে “অভিনয়ের এক মাস্টারক্লাস” আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি অত্যন্ত জটিল এক চরিত্রকে নিখুঁতভাবে জীবন্ত করে তুলেছেন। নাগার্জুনার বিষয়ে বলেন, “শেখর গারুর পরিচালনায় তোমাকে এমন এক ঘাতক চরিত্রে দেখা ছিল চোখের আরাম।”
রাশমিকাকে ‘এক অনন্য ও শক্তিশালী চরিত্রের অধিকারী’ বলে প্রশংসা করেন তিনি, আর দেবী শ্রী প্রসাদ-এর সঙ্গীতকে বলেন “আরেকটি চমৎকার সৃষ্টিকর্ম”।
প্রযোজনা দলের সদস্যদের উদ্দেশে সাই পল্লবীর বার্তা, “তোমাদের ঘাম-রক্ত যেন স্বীকৃতিতে রূপান্তরিত হয়।”
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে ২০ জুন ২০২৫-এ এবং ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছে। অনেকে বলছেন, এটি ধানুশ-এর জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য অভিনয়।
‘কুবেরা’ মূলত একটি সামাজিক থ্রিলার, যেখানে এক ভিক্ষুক এবং এক সিবিআই কর্মকর্তার মধ্যকার সংঘাত, দুর্নীতি এবং মানবিক সঙ্কটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাহিনি। শেখর কাম্মুলার পরিচালনায় ছবিটিতে ধানুশ ছাড়াও অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা, নাগার্জুনা, জিম সারভ এবং দিলিপ তাহিল।
ছবির প্রযোজনায় আছেন সুনীল নারাং ও পুস্কুর রাম মোহন রাও। এর পটভূমি যেমন বাস্তব, তেমনি গল্পের গভীরতা ও আবেগও দর্শকদের মুগ্ধ করছে।
‘কুবেরা’ বর্তমানে একাধিক ভাষায় সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে, এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও সমালোচকদের মধ্যে ব্যাপক চর্চিত হয়ে উঠেছে।
সাই পল্লবীর মতো একজন শিল্পীর প্রকাশ্য প্রশংসা কেবল ছবির গ্রহণযোগ্যতাই বাড়াচ্ছে না, বরং সেটি আরও বৃহৎ একটি চলচ্চিত্রিক আন্দোলনের অংশ হয়ে উঠছে — যেখানে কন্টেন্ট ও বাস্তবতা মিলেমিশে তৈরি করছে এক নতুন ধারা।
আরএম/টিকে