স্বাধীনতা দিবসেই পর্দা খুলছে একটি ভিন্নস্বাদের গোয়েন্দা কাহিনির। জিওহটস্টারে ১৫ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে মৌনী রায় অভিনীত স্পাই থ্রিলার সিরিজ 'সালাকার'। অতীত আর বর্তমানের সুতোর বাঁধনে নির্মিত এই সিরিজে থাকছে গুপ্তচর জগতের অজানা ইতিহাস, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ আর উত্তরাধিকারের এক গা ছমছমে আখ্যান।
'খুদা হাফিজ' খ্যাত পরিচালক ফারুক কবির এই সিরিজে তুলে ধরেছেন এমন এক তরুণ ভারতীয় গোয়েন্দার গল্প, যার চোখ দিয়ে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় লুকিয়ে থাকা রাষ্ট্রীয় কিছু চরম সত্য। বাস্তব গোয়েন্দা মিশনের অনুপ্রেরণায় তৈরি এই সিরিজে গল্পের গাঁথুনি সাজানো হয়েছে দুই ভিন্ন সময়ের প্রেক্ষাপটে। একদিকে অতীত, অন্যদিকে বর্তমান—এই দুই সময়ের সংঘাতে তৈরি হয়েছে এক উচ্চঝুঁকির মিশন, যেখানে প্রত্যেকটি পদক্ষেপে রয়েছে ধ্বংস কিংবা মুক্তির সম্ভাবনা।
মৌনী রায়ের জন্য এই চরিত্রটি নিঃসন্দেহে এক অভিনয় পরীক্ষা। কারণ, এখানে তাকে দেখা যাবে এক গভীর, জটিল, মিশ্র অনুভূতিতে মোড়া চরিত্রে—যেখানে কৌশল, কষ্ট আর জেদ একসাথে মিশে রয়েছে। নির্মাতাদের মতে, ‘সালাকার’ শুধু একটি থ্রিলার সিরিজ নয়, বরং এটি ভাঙা ঐতিহ্য, চাপা থাকা উত্তরাধিকার এবং আত্মপরিচয়ের খোঁজের গল্প। এখানে গোয়েন্দাগিরি একধরনের দায়িত্ব, আবার ঋণও বটে।
সিরিজের প্রযোজক সুনজয় ওয়াধওয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, তারা ভারতীয় স্পাই থ্রিলার ঘরানাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চেয়েছেন। তাই এই সিরিজে কেবল রোমাঞ্চ নয়, রয়েছে আবেগ, অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং ব্যক্তিগত ট্রমার ছাপ। প্রজন্মের নীরবতার ফাঁকে যে গোপন রাষ্ট্রীয় ইতিহাস চাপা পড়ে থাকে, সেই দিকেও নজর দিয়েছে 'সালাকার'।
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেয়ে সিরিজটি চাইছে দেশাত্মবোধকে অতিনাটকীয়তা নয়, বরং সূক্ষ্ম, বাস্তব এবং ভাবনায় দাগ কাটে এমনভাবে উপস্থাপন করতে। বাহুল্য ও অতিনাটকীয়তাকে পাশ কাটিয়ে মৌনী রায় এই সিরিজে যে অভিনয় উপহার দিয়েছেন, তা হয়তো তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে পরিণত ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে থাকবে।
এসএন