বাংলা সিনেমা যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান গড়ছে, ঠিক তখনই এক ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হলো—পাইরেসি। আর এই চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়েই ক্ষোভ ঝাড়লেন ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খান। তাঁর কথায়, “এটা শুধু সিনেমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়, এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।”
সম্প্রতি রাজধানীর সনি সিনেপ্লেক্সে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়ে শাকিব খান এই মন্তব্য করেন। মুক্তির ১৬ দিন পর এই প্রথম নিজে হলে গিয়ে নিজের অভিনীত এই ছবি দেখলেন তিনি। ঠিক তার আগেই দর্শক ও সংবাদকর্মীদের সামনে বললেন সিনেমা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে চলা এক দুরভিসন্ধির কথা।
তিনি বলেন, “বাংলা সিনেমা এখন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, সম্মানের সঙ্গে চলছে। এই অবস্থান নষ্ট করে দিতে একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। যে সিনেমা ভালো করছে, সেগুলোকেই টার্গেট করে পাইরেসি করা হচ্ছে।”
‘তাণ্ডব’ সিনেমাটি মুক্তির পরপরই পাইরেসির শিকার হয়। এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের করা মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তিনজন। আদালত তাদের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। শাকিব মনে করেন, এসব ঘটনা শুধু সিনেমার ক্ষতি করছে না, বরং দেশের সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রাকেই ব্যাহত করছে।
‘বরবাদ’ সিনেমার উদাহরণ টেনে শাকিব খান বলেন, “আমরা এর আগেও পাইরেসির শিকার হয়েছি। তবে এবার ‘তাণ্ডব’–এর ক্ষেত্রে সেটি আরও আগে ঘটেছে। এটা পরিকল্পিত আঘাত।”
তবুও আশার আলো দেখেন তিনি দর্শকদের মধ্যে। বলেন, “আমি দেশের দর্শকদের ধন্যবাদ জানাই। পাইরেসির পরও দর্শক হলে গিয়ে সিনেমা দেখছে। এখনও ‘তাণ্ডব’ হাউসফুল যাচ্ছে। এটা দর্শকদের সংগ্রাম, সিনেমা বাঁচানোর লড়াই।”
এই বিশেষ শোতে শাকিবের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা রায়হান রাফি, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, সাবিলা নূর, সালাহউদ্দিন লাভলু, রেদওয়ান রনি, সুমন আনোয়ার, মুকিত জাকারিয়া ও এ কে আজাদ সেতু।
সবার চোখে এখন একটাই প্রত্যাশা—এই পাইরেসি রুখে দাঁড়াক প্রশাসন, সচেতন হোক দর্শক, এবং নিরাপদ থাকুক বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ।
এসএন