বলিউডে শুটিং স্থগিত হওয়া নতুন কিছু নয়, তবে যখন জাতীয় শোককে ঢাল বানিয়ে প্রযোজকরা আর্থিক গলদ গোপন করতে চান, তখন তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ওঠা স্বাভাবিক। ঠিক এমনটাই ঘটছে অক্ষয় কুমারের বহুল আলোচিত ছবি ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল নিয়ে।
সম্প্রতি ছবির প্রযোজকরা এক বিবৃতিতে জানান, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুট বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ বলিউডের অন্দরমহল বলছে ভিন্ন কথা। ইনসাইডারদের দাবি, এই ছবির প্রযোজনা নিয়ে গলদ শুরু হয়েছিল এক বছরেরও বেশি আগে, যখন পেহেলগামের ঘটনার নামগন্ধও ছিল না। মূলত বকেয়া বেতন, একের পর এক বাতিল শুটিং, বাজেট নিয়ে লড়াই আর চুপিসারে অভিনেতাদের ছবি ছেড়ে দেওয়া — সব মিলিয়ে প্রযোজনা প্রক্রিয়া দিশেহারা অবস্থায়।
নেটিজেনরা বলছেন, এটি এক ধরনের স্লো মোশন ভেঙে পড়া। অনেকে সরাসরি কটাক্ষ করেছেন — হামলার মতো জাতীয় ট্র্যাজেডিকে ছুতো করে প্রযোজকরা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। এই নিয়ে বলিউডে এখন ব্যঙ্গাত্মক এক শব্দও ছড়িয়েছে — ‘নারকেল বিক্রেতা প্রোডাকশন’। অনেকে মন্তব্য করছেন, গলিতে নারকেল বিক্রেতারাও নাকি এদের চেয়ে ভালো প্রযোজনা চালাতে পারে।
কোনো বিবৃতি দিয়েই আর দর্শককে বোকা বানানো যাচ্ছে না। অনলাইনে রিয়েল-টাইমে খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে, প্রমাণ সামনে আসছে, ফলে PR দিয়ে সত্য লুকানো কঠিন। ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল-এর মতো বহুতারকা ছবির ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি পুরো বলিউডের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
ইন্ডাস্ট্রির অনেকে বলছেন, প্রযোজক ও নির্মাতাদের উচিত খোলাখুলি সত্য বলা, দায়িত্বশীলভাবে সমস্যা সমাধান করা। তা না হলে এমন ভুয়া অজুহাত আর বিবৃতি সিনেমা নয়, পুরো ইন্ডাস্ট্রিকেই বিপদে ফেলতে পারে। শুটিং চালিয়ে যেতে হলে এখন দরকার স্বচ্ছতা আর জবাবদিহি, মিথ্যা গল্প নয়।
কেএন/এসএন