এবার মস্কোর কাছে আরও বড় সহায়তা চাইলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সোমবার তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাথে পুতিনের বৈঠকে তেহরানের জন্য আরও বেশি কিছু করার আহ্বান জানান খামেনি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পুতিনের সাথে আলোচনা করতে মস্কো যান আরাঘচি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইল প্রকাশ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা এবং দেশটির শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা করছে।
রাশিয়ার আশঙ্কা, এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যকে অতল গহ্বরে ঠেলে দিতে পারে।
পুতিন ইসরাইলি হামলার নিন্দা করলেও, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। যদিও তিনি গত সপ্তাহে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং পারমাণবিক কর্মসূচিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মস্কোর ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
একটি জ্যেষ্ঠ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি পুতিনের কাছে খামেনির একটি চিঠি পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল, যাতে পুতিনের সমর্থন চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইরানের সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাশিয়া যেভাবে ইরানের পাশে আছে তাতে ইরান এখনও পর্যন্ত খুশি হতে পারেনি। দেশটি চায় পুতিন ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের হয়ে আরও কিছু করুক।
তবে তেহরান কী সহায়তা চায় সে সম্পর্কে সূত্রগুলো বিস্তারিতভাবে কিছু বলেনি।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন আরাঘচিকে স্বাগত জানিয়েছেন কিন্তু তার সাথে কী আলোচনা হবে তা বলেননি।
এর আগে পুতিন বারবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ক্রেমলিন প্রধান গত সপ্তাহে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের খামেনিকে হত্যা করার আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান।
পুতিন বলেন, ইসরাইল মস্কোকে আশ্বাস দিয়েছে যে, ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আরও দুটি চুল্লি নির্মাণে সহায়তাকারী রাশিয়ান বিশেষজ্ঞদের বিরুদ্ধে হামলা করা হবে না।
তেহরানের দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে আজ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
আরআর/টিকে