‘মি টু’র পর বলিউডে পরিবর্তন দেখছেন ফাতিমা

বলিউডের ‘দঙ্গল’খ্যাত আলোচিত অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ। বলিউড যাকে চিনেছিল দঙ্গল কন্যা হিসেবে। এবার সেই অভিনেত্রী তার ‘মেট্রো ইন দিনো’ সিনেমার প্রচার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। 

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে শুটিং সেটে যৌন নির্যাতন, কাস্টিং কাউচসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

ফাতিমা সানা বলেন, ‘মি টু আন্দোলনের পর একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন এসেছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। মানুষ এখন এ বিষয়টিতে ভীত বোধ করেন। তবে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও অনেক দূর যেতে হবে। তিনি বলেন, এটি এমন নয় যে, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি খারাপ। যে ঘটনা ঘটেছে, তা কেবল কারও কারও সঙ্গে ঘটছে। এমনকি তা অনেক সময় কথোপকথনের মাধ্যমেই ঘটেছে।

ফাতিমা সানা শেখ সবসময় খোলাখুলিভাবে কথা বলতে পছন্দ করেন। এ ব্যাপারে ব্যতিক্রম নন। অভিনেত্রী বলেন, প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিতেই এটি (যৌন নির্যাতন) বিদ্যমান। তবে এখন অভিযোগ আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয়। আপনি কারও সঙ্গে কাজ করছেন, আপনি সিনেমার জন্য ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছেন; কিন্তু তারপরও আপনি বুঝতে পারেন না, সম্পর্কগুলো কীভাবে কাজ করে। এরপর আছে ক্ষমতার ব্যবহার। তিনি বলেন, নারীরা এখন জনসমক্ষে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে পারেন। সেই পরিবর্তন এসেছে। 

ফাতিমা সানা শেখ বলেন, এটি একটি পুরুষশাসিত শিল্প। তবে মি টুর পর নারীরা এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। আপনি কেন একজন অভিনেতার সঙ্গে এমন করলেন, আপনাকে সেই জবাবদিহি করতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি অস্বস্তিকর অবস্থার ভেতর দিয়ে গেছেন। তবে সেটে তিনি কখনো সরাসরি যৌন অসদাচরণের মুখোমুখি হননি।

উল্লেখ্য, আগামী ৪ জুলাই সানা শেখ অভিনীত ‘মেট্রো ইন দিনো’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। সানা শেখ ছাড়াও এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন কঙ্কনা সেন শর্মা, পঙ্কজ ত্রিপাঠী, সারা আলি খান, আদিত্য রায় কাপুর, আলি ফজল, নীনা গুপ্তা, অনুপম খের প্রমুখ।


ইউটি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ওএসডি হলেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন Jun 25, 2025
img
সামরিক সাফল্যের পরেই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর Jun 25, 2025
img
যুদ্ধবিরতিতে মুখরক্ষা হয়নি নেতানিয়াহুর Jun 25, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে বেনফিকা Jun 25, 2025
img
সান্তোসেই থাকছেন নেইমার, চুক্তি নবায়ন ডিসেম্বর পর্যন্ত Jun 25, 2025
img
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ন্যায্যভাবে অধিকার ফিরে পেয়েছি: জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল Jun 25, 2025
img
সাবিনাদের প্রসঙ্গে মুখ খুললেন না কোচ ও অধিনায়ক Jun 25, 2025
img
কাঠবাদাম যেভাবে খেলে শরীরে আসে দ্বিগুণ উপকার Jun 25, 2025
img
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসে গর্বিত ট্রাম্প Jun 25, 2025
img
বিজ্ঞানীদের হত্যা করে কর্মসূচি থামানো যাবে না: বিশ্লেষক Jun 25, 2025
img
যুদ্ধবিরতিতে ইরান অনড়, পারমাণবিক কর্মসূচি থামছে না Jun 25, 2025
img
জেলেনস্কি না থাকলেও ইউক্রেন ইস্যু গুরুত্ব হারাচ্ছে না: ন্যাটো Jun 25, 2025
img
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে ‘যুগান্তকারী’ বলল বিএনপি Jun 25, 2025
img
বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতায় আগ্রহ চীনের Jun 25, 2025
img
সচিবালয়ে ক্যান্টিন দখল নিয়ে সংঘর্ষ, ছয়জন আহত Jun 25, 2025
img
জাতিসংঘে সরব কাতার, দোহায় তলব ইরানি রাষ্ট্রদূত Jun 25, 2025
img
ইরানের পারমাণবিক কাঠামো অক্ষত, দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের Jun 25, 2025
img
মৃত্যুর গুজব ভুল প্রমাণ করে জনতার মাঝে জেনারেল কানি Jun 25, 2025
img
ইরান যুদ্ধ চলাকালে গাজায় ৮৭০ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল Jun 25, 2025
img
থিয়েটারে ফিরছে তেলুগুর ছয় কালজয়ী ছবি Jun 25, 2025