গত এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিজের শরীরচর্চার দিকেও রাখছেন বিশেষ নজর।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর থেকেই নিজের শারীরিক গঠনে আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন তিনি। বিশেষ করে সিক্স প্যাকের লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত পরিশ্রম করছেন জায়েদ খান। ইতিমধ্যে সাড়ে তিন মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের এলএ ফিটনেস সেন্টারে নিয়মিত জিমে সময় দিচ্ছেন তিনি।
জায়েদ খানের ভাষ্য, এখন তিনি প্রায় সিক্স প্যাকের কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছে গেছেন। শরীরচর্চায় কোনওরকম ছাড় না দিয়ে প্রতিদিন রুটিনমাফিক সময় দিচ্ছেন।
জায়েদ খান জানালেন, গত সাড়ে তিন মাসে ওয়ার্কআউট ও খাওয়াদাওয়ায় পরিবর্তন আনার ফলে ১৬ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি।
এরপর বললেন, আসলে আমার সিক্স প্যাক মোটামুটি চলে এসেছে। আর জাস্ট কয়েকটা দিন কন্টিনিউ করলেই শরীরে দাগগুলো স্পষ্ট বোঝা যাবে।
জিম করার পর থেকে তার বয়সটাও কমে গেছে বলে মনে করছেন জায়েদ।
তিনি বলেন, গত সাড়ে তিন মাসে দৈনিক আড়াই ঘণ্টা জিম করি, প্রচুর ঘুমাই, রিলাক্স থাকি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি।
নিজের কাছেই মনে হচ্ছে বয়সটা যেন কমে গেছে। মৃত্যু যে কোনো সময় আসতেই পারে, তারপরেও আমাদের সুস্থ থাকা জরুরি। আগে মাঝেমধ্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা অনুভব হতো, টান লাগতো এখন আর কিছুই হয়না। খুবই ফুরফুরে লাগে। জিমে গেলেই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে।
গত তিনমাসে ভারি মাংস, ফিন্নি, কোক, সুগার, ফার্স্টফুড কিছুই খাননি বলে জানান তিনি। নিজের খাওয়া-দাওয়া মেইনটেইন প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, তেল ছাড়া খাবার খাই। সকালে ওটস খাই সঙ্গে থাকে ফ্যাট ফ্রি দুধ।
ব্লুবেরি ও স্ট্রবেরিও থাকে। এর সঙ্গে বাদাম থাকে। দুপুরে এককাপ লাল চালের ভাত খাই, ব্রুকলি, সিদ্ধ স্যালমন থাকে। সঙ্গে দিনে টুকটকা শশা-টমেটো খাই।
কয়েকমাস আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যম ‘ঠিকানা’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন জায়েদ খান। কয়েকদিনের মধ্যে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তার উপস্থাপনায় ‘ফ্রাইডে নাইটস উইথ জায়েদ খান’ নামে একটি শো আসার কথা রয়েছে।
এসএম/টিকে