প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ জার্মান রাষ্ট্রদূতের

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অ্যাকিম ট্রেস্টার চার বছরের কূটনৈতিক দায়িত্ব শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।

বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূত ট্রেস্টারকে সফল দায়িত্ব পালনের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-জার্মানি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে তার ভূমিকার প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত ট্রেস্টার বাংলাদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করে বলেন, “আমার কূটনৈতিক জীবনে অনেক চমৎকার পোস্টিং ছিল, তবে বাংলাদেশ সত্যিই ব্যতিক্রম। এখানকার মানুষের আতিথেয়তা আমাকে অভিভূত করেছে। আমি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ছি।”

তিনি আরও বলেন, “ইনভেস্টমেন্ট সামিট ছিল একটি ভাল উদ্যোগ। আমি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার সফলতা কামনা করি। আশা করি, সামনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, “জার্মানি ইউরোপে আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং তাদের উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

বিশেষভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জার্মানির মানবিক সহায়তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সংকটে জার্মানির অব্যাহত সহায়তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।”

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আপনি চলে গেলেও আমরা আপনার মতামত শুনতে আগ্রহী থাকবো—তা ইতিবাচক হোক বা সমালোচনামূলক। আপনি আমাদের একজন প্রকৃত বন্ধু হিসেবে বিবেচিত।”

বৈঠকে এসডিজি সমন্বয়কারী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ মহাপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পক্ষপাতের অভিযোগে এনসিপি কমিটি থেকে তিন সদস্যের পদত্যাগ Jun 26, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ১০০ ফিলিস্তিনি Jun 26, 2025
img
নতুন যাত্রায় রোনালদো, গন্তব্য কোথায়? Jun 26, 2025
img
মহররমের চাঁদ দেখা গেছে, আমিরাতে আশুরা পালিত হবে ৫ জুলাই Jun 26, 2025
img
আইপিএলকে টেক্কা দিতে চায় সৌদির নতুন লিগ, অনুমোদন নিয়ে দোটানা Jun 26, 2025
img
বিশ্ব বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম Jun 26, 2025
img
আন্তর্জাতিক চোরের অভিনব কৌশলে হীরা চুরি Jun 26, 2025
img
ঢাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে অপরিবর্তিত Jun 26, 2025
img
প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ায় চালু হচ্ছে বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড Jun 26, 2025
img
উপবৃত্তির নামে পিন ও ওটিপি চেয়ে প্রতারণা, সতর্ক করল শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট Jun 26, 2025
img
পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দ্বিমত, মুখ খুলল তেহরান Jun 26, 2025
img
ব্রিকস সম্মেলনে যাচ্ছেন না পুতিন, কারণ কী? Jun 26, 2025
img
মানুষ সব সময়ই ‘ট্রেন্ড’-এ গা ভাসাতে পছন্দ করেন: ঋতাভরী Jun 26, 2025
img
আদানির বকেয়া ৩৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করল বাংলাদেশ Jun 26, 2025
img
আবারও ছোটপর্দায় চমক, নতুন সিরিজ নিয়ে আসছেন আফরান নিশো Jun 26, 2025
img
প্রত্যেকে চায় তার নিজের মতামত দেশের সবাই মেনে নিক : মাসুদ কামাল Jun 26, 2025
img
আজ শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা Jun 26, 2025
img
স্টারলিংকের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে যাচ্ছে দেশ : মঞ্জুরুল আলম পান্না Jun 26, 2025
img
প্রয়োজনে পেট্রল পাম্পে কাজ করার কথাও ভেবেছিলেন অভিনেতা জনি ডেপ Jun 26, 2025
img
বোন সোনাক্ষীকে নিয়ে পরিচালনায় কুশ, বললেন: 'কাজে আত্মীয়তা প্রভাব ফেলে না' Jun 26, 2025