ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ফ্রান্সের

ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের সামরিক বাহিনীর ছোড়া ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে ফ্রান্স। ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী তেহরানের একাধিক ড্রোন ভূপাতিত করেছিল বলে দাবি করেছে প্যারিস।

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ফ্রান্সে সংসদীয় বিতর্কের সময় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লিকোর্নু বলেন, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ১২ দিনের সংঘর্ষ চলাকালীন ইরান থেকে ইসরায়েলে হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো ড্রোনগুলোকে বাধা দিয়েছিল ফরাসি সেনাবাহিনী।

তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, গত কয়েক দিনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো বিভিন্ন সামরিক অভিযানের সময় ফরাসি সেনাবাহিনী ১০টিরও মতো ড্রোন প্রতিহত করেছে। এসব ড্রোন কখনও স্থল থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার, আবার কখনও আমাদের রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিতর্কের একটি ভিডিও শেয়ার করে লিকোর্নু লিখেছেন, ‘‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ইরানে হামলায় অংশ নেয়নি। তবে আমরা বৈধ আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে ওই অঞ্চলে আমাদের ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি।’’

তিনি বলেন, ‘‘ইরান থেকে ছোড়া কয়েকটি ড্রোন আমাদের ঘাঁটির ওপর দিয়ে ইসরায়েলের দিকে যাচ্ছিল। আমরা সেসব ড্রোন মাঝপথেই আটকে দিয়েছি।’’

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তথ্য অনুযায়ী, সংঘাত চলাকালে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান প্রায় ৫৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ১ হাজারের মতো ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মাঝে অস্ত্রবিরতি হয়। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের সংঘাতের অবসান ঘটে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 16, 2025
img
দেশে বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 16, 2025
img
বিসিবির কাছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোয়াবের দাবি Sep 16, 2025
img
ভেনেজুয়েলার নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩ Sep 16, 2025
img
ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাকসুর শিবির প্যানেলের দ্বীপ Sep 16, 2025
img
কাতারে আর হামলা করবে না নেতানিয়াহুর দেশ : ট্রাম্প Sep 16, 2025
img
লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি নেপালে Sep 16, 2025
img
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান মালয়েশিয়ার Sep 16, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস Sep 16, 2025
img
ফিরছে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফুটবল-ক্রিকেটে জমজমাট রাত Sep 16, 2025
img
ইইউ বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ Sep 16, 2025
img
হামাস যেখানেই থাকুক, হামলা করা হবে : নেতানিয়াহু Sep 16, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান ২৩তম Sep 16, 2025
img
শরীর নয়, মন ভালো রাখতেও জরুরি সঠিক খাবার Sep 16, 2025
img
১৬ সেপ্টেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Sep 16, 2025
img
শেরপুরে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরায় ১ দিনে পানিতে ডুবে কিশোরসহ প্রাণ হারাল ৪ Sep 16, 2025
img
চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরুর আগে সুসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Sep 16, 2025
img
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার Sep 16, 2025
img
৩ চাকার যানবাহনগুলো সঠিক গবেষণার মাধ্যমে সমাধানের তাগিদ Sep 16, 2025