কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশ হারের দিকেই এগোচ্ছে। এখনও পুরো দুই দিন বাকি থাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা, শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে এখনও ৯৬ রানে। প্রশ্ন তাই এখন দুইটা; টাইগাররা ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারবে কি না, আর হারটা কতটা বিলম্বিত করতে পারবে।
যে পিচে ১১৫ রান তুলতেই টপঅর্ডারের ৬ জন প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন, সেখানে নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও নাহিদ রানা কতক্ষণ ঠিকতে পারবেন, তা আন্দাজযোগ্যই। শেষ স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে অপরাজিত রয়েছেন শুধু লিটন কুমার দাস।
অর্থাৎ আন্দাজের ডানায় চড়ে কলম্বো টেস্টের ভবিষ্যৎ দেখার চেষ্টা করলে খুব কাছেই বাংলাদেশের হার দেখা যায়। এই ম্যাচে হারলে নিশ্চিত হবে সিরিজ হারও। গলে প্রথম রানবন্যার ম্যাচটা ড্র হয়েছিল।
এই টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দেখে ধাক্কা খেয়েছেন কি না, শ্রীলঙ্কায় থাকা বিসিবির সহসভাপতি ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে এই প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ধাক্কা খেয়েছি। প্রত্যাশা ছিল প্রথম টেস্টে যেভাবে খেলেছি, ভেবেছিলাম দ্বিতীয় টেস্টেও তেমন কিছু দেখব। জয়-পরাজয় তো পরের ব্যাপার। প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করেছিলাম। হতে পারে যে প্রথম দিন ব্যাট করতে আমরা একটু স্ট্রাগল করেছিল, দ্বিতীয় দিন ওরা সহজে ব্যাট করেছে। তারপরও প্রথম দিন আমরা আর একটু ভালো খেলতে পারতাম।’
টেস্ট সিরিজ শেষে দুদল ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার এরইমধ্যে শ্রীলঙ্কায় পাও রেখেছেন। তাদের সঙ্গেই আছেন ফাহিম। টেস্টের পারফরম্যান্স নিয়ে ধাক্কা খেলেও ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশাবাদী তিনি।
ফাহিম বলেন, ‘(সিরিজ) চ্যালেঞ্জিং হবে। শ্রীলঙ্কা যে ধরনের ক্রিকেট খেলে, আক্রমণাত্মক। টেস্টও ওরা ওয়ানডের মতোই খেলেছে। আমাদের বোলাররা ফিরে এসেছে; তাসকিন আছে, মোস্তাফিজ আছে। আশা করছি তারা দলের শক্তি বৃদ্ধি করবে। ব্যাটিংয়েও নতুন খেলোয়াড় যুক্ত হবে।
এটাও আশার কথা। আশা করি ওরা সক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারবে।’
আরএম/টিএ