বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : রিজওয়ানা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ শুধু পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার ভিত্তি। তাই এই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সব অংশীজনের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বনকে কার্বন ট্রেডিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে অক্সিজেন সরবরাহকারী ও জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে হবে।

উন্নত বিশ্ব যদি শুধু কার্বন ক্রেডিট কেনে, তারা প্রকৃতপক্ষে নির্গমন কমাবে না। ডিগ্রেডেড বন পুনরুদ্ধার, কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং সুফল প্রকল্পের ভেরিফিকেশন করাতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় বন জরিপের দ্বিতীয় চক্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বনবিষয়ক তথ্যভাণ্ডার গঠন, বনভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ভূপ্রকৃতি, ভূমি ব্যবহার ও ন্যাচারাল ক্যাপিটাল সংক্রান্ত মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আমাদের টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তিনি জানান, এই কার্যক্রম একটি ভালো উদ্যোগ। এখন প্রয়োজন থার্ড পার্টি অ্যানালাইসিস, অনলাইন ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং এবং পাঁচ বছর অন্তর তথ্য হালনাগাদ করা।

উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই ইনভেন্টরি পরিচালনা করতে হবে।

বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং সিইজিআইএস-এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে বন অধিদপ্তর, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, একাডেমিয়া ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শাহজালালে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ আটক ২ Oct 10, 2025
img
ঐশ্বরিয়ার জন্যই ‘দেবদাস’ থেকে বাদ পড়েন সালমান? Oct 10, 2025
img
হাতিরঝিলে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৯ Oct 10, 2025
img
‘অবৈধ অনুপ্রবেশে’ ভারতে আটক ৩৪ বাংলাদেশি নাগরিক Oct 10, 2025
img
‘না বলা’ অনেক কথা বলবেন নোবেল Oct 10, 2025
img
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম Oct 10, 2025
img
আগে গণভোট পরে সংসদ নির্বাচন, দাবি খেলাফত মজলিসের Oct 10, 2025
রাকসুতে আচরণবিধি সবাই নিজেদের মতো বানিয়ে ফেলছে: জিএস প্রার্থী সালাউদ্দিন Oct 10, 2025
img
আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচে দলে জায়গা হবে না মেসির Oct 10, 2025
img
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কিয়েভজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় Oct 10, 2025
img
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩০৮ Oct 10, 2025
img
জুবিনের মৃত্যুর পরও সিঁদুর পরছেন স্ত্রী গরিমা! Oct 10, 2025
img
ট্রাম্প কেন নোবেল পেলেন না, জানাল নোবেল কমিটি Oct 10, 2025
ম্যাচ হারায় অনেক কষ্ট পেয়েছি, শেষের গোলটা আশা করিনি Oct 10, 2025
'মাছ চাষ করলেও তোমার কিছু মাছ খাইতে পারবা'! Oct 10, 2025
img
খাট-সোফা ছাড়াই বিয়ে সেরেছিলেন অপু বিশ্বাস! Oct 10, 2025
“গাজীপুর থেকে এসেছেন জনসংযোগে যোগ দিতে - হাদির আবেগঘন প্রতিক্রিয়া” Oct 10, 2025
img
পিআর নিয়ে জাতির রায় আমরা গ্রহণ করব: গোলাম পরওয়ার Oct 10, 2025
img
৩৩০ গুণ বেতন পেয়ে চাকরি ছাড়েন কর্মী, আদালত দিলো তার পক্ষেই রায় Oct 10, 2025
img

ট্রাম্পের দাবি

ইরানের সঙ্গে এবার কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 10, 2025