মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা সন অফ সরদার টু-এর টিজার। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে এসেছে সেই পুরনো মজা, ধামাকা আর রঙিন কৌতুকের আবহ। তবে এবার গল্পে রয়েছে নতুন মোড়। এই ছবির প্রধান নারী চরিত্রে সোনাক্ষী সিনহার জায়গায় এসেছেন মৃণাল ঠাকুর। এই পরিবর্তন নিয়ে বলিউড মহল জুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
দক্ষিণের রুপালি পর্দায় ইতিমধ্যেই মৃণাল ঠাকুর বেশ জনপ্রিয়। তেলুগু ছবিতে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একের পর এক হিট ছবি আর বিশাল অনুরাগী গোষ্ঠী। তবে বলিউডে তাঁর উপস্থিতি এখনো ঠিক তেমন গুঞ্জন তোলেনি। সুপার থার্টি আর বাতলা হাউসের মতো ছবিতে অভিনয় করলেও সেসব গল্পে তিনি ছিলেন পুরুষ চরিত্রের ছায়াতেই। সন অফ সরদার টু-কে তাই অনেকেই দেখছেন মৃণালের বলিউড যাত্রার টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে।
টিজারে দেখা গেছে একগুচ্ছ হাসির দৃশ্য আর মজার সংলাপ। তবে কমেডি অভিনয় কোনো সহজ কাজ নয়। মৃণাল ঠাকুরকে এখানে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। হাস্যরস আর গ্ল্যামারের মিশেলে নিজের জায়গা পাকা করা সহজ নয়। পর্দায় বেঁচে থাকতে হলে তাঁকে দেখাতে হবে নিখুঁত কমেডি টাইমিং।
তবে এই লড়াইয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু কম নয়। অজয় দেবগন ফিরছেন এই সিক্যুয়েলে, সঙ্গে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। ফলে স্ক্রিন টাইমের লড়াই হবে প্রবল। মৃণাল কতটা আলো কেড়ে নিতে পারবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করবে তাঁর চরিত্রের গভীরতা আর চিত্রনাট্যের ওপর।
সন অফ সরদার টু মূলত এক চটুল, রঙিন, সরল বিনোদনের ছবি। এ ধরনের ছবিতে চরিত্রকে যদি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে লেখা না হয়, তাহলে পারফরম্যান্স তেমন নজর কাড়তে পারে না। তাই মৃণালের বড় চ্যালেঞ্জ হবে চরিত্রটিকে মনে রাখার মতো করে ফুটিয়ে তোলা।
মুক্তির দিনও ঘোষিত হয়েছে — ২৫ জুলাই, ২০২৫। বড়পর্দায় হাসির ঝড় তোলার চেষ্টায় এই ছবি কতটা সফল হবে, সেটা সময়ই বলবে। তবে বলিউডে নিজের অবস্থান মজবুত করতে হলে মৃণাল ঠাকুরের কাছে এ এক বিরল সুযোগ। দক্ষিণে তৈরি করা খ্যাতি এবার উত্তর ভারতের দর্শকের হৃদয়ে ছাপ ফেলতে পারে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
এফপি/এসএন