জীবন শুরু হয় চল্লিশে, অন্তত এমনই মনে করে একুশ শতক। কিন্তু এই সময়ই বাড়ছে ৪০-এর পর মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার গভীর রাতে মাত্র ৪২-এ শেষ হয়ে গেলেন শেফালি জ়ারিওয়ালা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়াতেই তাই স্তব্ধ বলিউড। শনিবার যত বেলা বেড়েছে ততই শোকের ঢেউ আছড়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সমবেদনা জানানো হয়েছে শেফালির পরিবারের সদস্যদের। সে দিন সকালে চিত্রাঙ্গদা সিংহ ছিলেন কলকাতায়। তাঁর ‘পরিক্রমা’ ছবি নিয়ে। পরিচালক গৌতম ঘোষ।
বলিউডে অল্প বয়সে চলে যাওয়া অভিনেতার তালিকা ছোট নয়। দিব্যা ভারতী থেকে সুশান্ত সিংহ রাজপুত, সিদ্ধার্থ শুক্ল, জিয়া খান হয়ে শেফালি জ়ারিওয়ালা। কেন এত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা? এ দিন একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর মুখোমুখি ভারতীয় গণমাধ্যমের। তাঁর কথায়, “শেফালির মৃত্যুর কারণ জানি না। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে এটুকু বলতে পারি, এই ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। যে কোনও ভাষার বিনোদন দুনিয়ায় কমবেশি এ রকম ঘটনা ঘটেছে বা ঘটছে। একমাত্র বলিউডেই নয়।”
এই প্রথম কোনও বাঙালি পরিচালকের ছবিতে কাজ করলেন চিত্রাঙ্গদা। ‘পরিক্রমা’ ইতিমধ্যেই বিদেশের নানা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত। স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। সেই উচ্ছ্বাস কি সামান্য স্তিমিত শেফালির অকালমৃত্যুতে?
“সকালেই শেফালির মৃত্যুর খবর শুনেছি। যে কোনও মৃত্যুই শোকের। সকলের মতো আমিও খবরটা শুনে মর্মাহত। শেফালির আত্মার শান্তি কামনা করছি”, বলেন তিনি।
এফপি/এস এন