বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ হাজার, হাসপাতালে ২১৭ জন ভর্তি

বরগুনায় কমছে না ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এছাড়া দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে জেলায় আরও অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনই প্রায় দুই শতাধিক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে সবমিলিয়ে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন অন্তত ৫০০-৬০০ জন ভর্তি রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। অপরদিকে সদর উপজেলার পর বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভর্তি বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭৩ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আরো ভর্তি রয়েছেন ২০ জন। এর মধ্যে বেতাগীতে ১, বামনায় ১১, পাথরঘাটায় ২ এবং তালতলীতে ৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১৮৩ জন রোগী।

জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল আরও আক্রান্ত রোগী ভর্তি রেয়েছে ৩৪ জন।

এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মোট ৩ হাজার ২৫ জন রোগীর মধ্যে শুধু জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজার ৭৩০ জন।

এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জেলার আরও অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮০৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, বরগুনায় মশক নিধন কার্যক্রমও চলছে, অপরদিকে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে মশক নিধন কার্যক্রমটি যদি আরও জোরদার করা হয় তাহলে হয়তো আমাদের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও সমানভাবে ভর্তি এবং সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পাওয়ায় ব্যালেন্স হচ্ছে। আর এ কারণেই এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে আমরা স্থান দিতে পারছি। তবে সামনের দিনগুলোতে যদি রোগী সংখ্যা আরও বেশি হয়, তাহলে ওই সময় পরিস্থিতি কেমন হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
একক কনসার্টে গাইবেন বাপ্পা মজুমদার Jul 01, 2025
img
বরখাস্ত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা Jul 01, 2025
img
আমার বিশ্বাস রিয়ামনি আর এমন ভুল করবে না: হিরো আলম Jul 01, 2025
‘১৪০০ শহীদ আন্দোলনের সবচেয়ে বড় মাস্টারমাইন্ড’ Jul 01, 2025
img
৫ লাখ ‘ওয়ার্ক পারমিট ভিসা’ দেওয়ার ঘোষণা ইতালির Jul 01, 2025
img
খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি করার দাবি জানালেন পিনাকী! Jul 01, 2025
img
মায়ামি ছাড়ছেন মেসি, গন্তব্য ইউরোপ! Jul 01, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল বুধবার: নৌ উপদেষ্টা Jul 01, 2025
img
শাহজালাল বিমানবন্দরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, স্ক্যানিংয়ে কড়াকড়ি Jul 01, 2025
আসছে জুলাই ঘোষণা: স্থগিত হতে পারে সংবিধান, সরকারে রথবদলের ইঙ্গিত Jul 01, 2025
img
চট্টগ্রামের সাবেক ডিআইজিসহ আরও ৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত Jul 01, 2025
img
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কিরকুক বিমানবন্দরে রকেট হামলা Jul 01, 2025
img
অভিনয় থেকে দুই মাস দূরে থাকবেন জোভান Jul 01, 2025
img
নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা Jul 01, 2025
img
শিগগিরই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে যাচ্ছে ইরান: আব্বাস আরাঘচি Jul 01, 2025
‘আমরা একদলীয় দেশের বাসিন্দা’: ইলন মাস্ক Jul 01, 2025
img
উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ফ্রান্স Jul 01, 2025
img
সব আওয়ামী লীগারেরাই মেন্টালি সিক, তাদের থেরাপি ও রিহ্যাবে পাঠানোর পরামর্শ পিনাকির Jul 01, 2025
img
সবচেয়ে বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হজ আয়োজন ২০২৫ সালে Jul 01, 2025
img
জুনে রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৯ দিনেই এসেছে ২৭০ কোটি ডলার Jul 01, 2025