শিক্ষার্থী ভিসায় ‘সময়সীমা’ আরোপ করতে চান ট্রাম্প

প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের অনেকেই পড়াশোনা, গবেষণা এবং ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরও দীর্ঘসময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন। এই ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের শিক্ষার্থী ভিসায় এবার ‘সময় সীমা’ আরোপ করতে চাইছেন ট্রাম্প।

বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী এফ-১ ভিসাধারী— তাদের ভিসায় কোনো সময়সীমা আরোপ করা নেই। পড়াশোনা শেষেও তারা বেশ কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে পারেন। ট্রাম্প চাইছেন, এই নিয়ম বাতিল করে প্রতিটি ভিসায় যেন মেয়াদ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়া যাওয়ার পর সেই ভিসা বাতিল হয়ে যাবে।

ট্রাম্প যখন প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সে সময় ২০২০ সালে এ সংক্রান্ত একটি বিল মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর হওয়ায় বিলটি নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। বিলটিতে কী কী পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছিল— তা ও অজানা। এক প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় সময়সীমা আরোপ সংক্রান্ত ট্রাম্পের প্রস্তাবটি বিল আকারে মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সব ধরনের শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ নির্দিষ্ট করতে হবে এবং মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি কোনো শিক্ষার্থী ভিসা নবায়ন না করেন, তাহলে ওই শিক্ষার্থীকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে মার্কিন আইন অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থী ফৌজদারি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানে ট্রাম্প নথিবিহীন অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করে যাচ্ছেন তিনি এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন নথিবিহীন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিও কঠোর ভূমিকায় নেমেছে। 


ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গা, প্রাণ হারালেন ৩১ জন Nov 10, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক জনের Nov 10, 2025
img
ধানের শীষে ভোট চাওয়ায় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন জামায়াত প্রার্থীর Nov 10, 2025
img
ইসরায়েলের বিষয়ে নিজেদের শর্ত আরও কঠোর করল সৌদি আরব Nov 10, 2025
img
মুম্বাইয়ে নেহা কক্করের নাম করে বড় ধরনের প্রতারণার অভিযোগ Nov 10, 2025
img
শিক্ষকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন আজ Nov 10, 2025
img
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্ট Nov 10, 2025
img
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে লেবাননে আবারও হামলা চালাল ইসরায়েল Nov 10, 2025
img

ভিডিও ভাইরাল

শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমানের ‘স্ত্রী’ বলে বিতর্কে বিএনপি নেতা Nov 10, 2025
img
অক্টোবরে প্রায় ২০৭ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি Nov 10, 2025
img
আজ মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ, কমতে পারে তাপমাত্রা Nov 10, 2025
img
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমি কেন ভয় পাব : জেলেনস্কি Nov 10, 2025
img
ক্যাটরিনার মাতৃত্ব নিয়ে সালমানের মন্তব্য ঘিরে বিভ্রান্তি Nov 10, 2025
img
নতুন নিয়মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন জারি Nov 10, 2025
img
হাবিবুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Nov 10, 2025
img
আজ দিনাজপুরে দুদকের ১৯০তম গণশুনানি Nov 10, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা Nov 10, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মেনে নেবে না: দুলু Nov 10, 2025
img
আমরা আজ কলি হয়ে আছি, একদিন ফুটবই : নাহিদ ইসলাম Nov 10, 2025
img
সোনাক্ষী সিনহার সম্পদের পরিমাণ কত? Nov 10, 2025