হঠাৎই বলিউডে নেমেছে শোকের ছায়া — ২৯ জুন প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী শেফালী জরীওয়ালা। বয়স পেরোয়নি ৪৫, তবু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন। করোনোত্তর যুগে বলিউডে এমন আকস্মিক মৃত্যু বেড়েই চলেছে। চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনেও দানা বাঁধছে একটাই প্রশ্ন — বয়স ধরে রাখার প্রতিযোগিতা কি অজান্তেই নিয়ে যাচ্ছে প্রাণ?
এই প্রশ্নের মধ্যেই আবার সামনে এলেন এক বলিউড আইকন — মুমতাজ। বয়স ৭৭ হলেও এখনও ঝকঝকে, সতেজ, আত্মবিশ্বাসী তিনি। বরং এই সময়েও তিনি নিজেই মুখ খুলেছেন সৌন্দর্যচর্চা ও ত্বকের যত্ন নিয়ে। বয়স কমানোর প্রয়াসকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়ে জানিয়েছেন, প্রতি চার মাসে ফিলার করান নিজের গালে। শুধু তা-ই নয়, প্লাস্টিক সার্জারির পক্ষেও স্পষ্ট সায় দিলেন এই অভিনেত্রী।
মুমতাজ বলেন, “নিজেকে সুন্দর দেখতে কে না চায়? সেই সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য যদি সার্জারির প্রয়োজন হয়, তাতেও আমার কোনো আপত্তি নেই।” যদিও তিনি জানিয়েছেন, ফেস লিফটের চেয়ে ফিলারেই বেশি ভরসা করেন। প্রতি দুই মাস অন্তর ফিলার করালেও তিনি ছুরি-কাঁচির ধার ঘেঁষেননি বলেই দাবি করেন।
এই বয়সেও যেভাবে তিনি নিজের রুটিন মেনে চলেন, তা রীতিমতো চমকপ্রদ। ভোর ৪টায় ওঠেন, ৭টায় শরীরচর্চা করেন, ডিটক্স জল পান করেন খালি পেটে। প্রাতরাশ সীমিত, রাতের খাবার খান না, দুপুরেই মূল আহার। খিদে পেলে ফল খান, আর রাত ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন।
সম্প্রতি বোটক্স ও সার্জারির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কারিনা কপূর, মল্লিকা শেরাওয়াতের মতো তারকারা। তবে তাঁদের সেই ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য’-এর বার্তার একেবারে উল্টো মেরুতে দাঁড়িয়ে মুমতাজ বলছেন, সৌন্দর্য রক্ষা করাও একধরনের লড়াই। এই বক্তব্যে আবারও সামনে এল বলিউডের এক পুরনো বিতর্ক — তারকারা সৌন্দর্যচর্চায় কতদূর পর্যন্ত যেতে পারেন?
এদিকে, আকস্মিক মৃত্যু আর সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার টানাপোড়েনে বিভক্ত হয়েছে বলিউড সমাজ। কেউ বলছেন সচেতনতা, কেউ বলছেন আত্মপ্রেম। কিন্তু মুমতাজ জানিয়ে দিলেন, বয়স যতই হোক — আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি ভালো লাগাটা কখনো ফিকে হয় না।
এসএন