ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের জীবনের সঙ্গে রহস্যজনক মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে একটি নতুন হাই-প্রোফাইল স্পাই থ্রিলারে। পরিচালক ফারুক কবির পরিচালিত ‘সালাকার’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের ১৫ আগস্ট, জিওহটস্টারে। ছবির কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌনী রায়।
‘সালাকার’ একটি কল্পনানির্ভর গোয়েন্দা-গল্প হলেও, এর গল্প, আবেগ ও চরিত্র গঠনের ধরন দেখে অনেকেই মনে করছেন, এটি ভারতের অন্যতম কৃতী ও রহস্যময় গোয়েন্দা, অজিত ডোভালের জীবনের আদলে তৈরি। যদিও নির্মাতাদের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তবুও ফিল্মফেয়ার পত্রিকার দাবি, ছবিটি একটি কল্পিত শ্রদ্ধার্ঘ্য, বায়োপিক নয়।
পরিচালক ফারুক কবির যিনি এর আগে ‘খুদা হাফিজ’ পরিচালনা করে প্রশংসিত হয়েছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, “‘সালাকার’ শুধুই একটি স্পাই থ্রিলার নয়, এটি আত্মপরিচয়, নিঃশব্দ আত্মত্যাগ ও উত্তরাধিকারের অনুসন্ধানে তৈরি এক আবেগঘন ছবি।”
চলচ্চিত্রটির গল্প এগিয়ে যাবে দুইটি সময়রেখায়। প্রথমটি এক তরুণ ভারতীয় গুপ্তচরের যাত্রা, যিনি ধীরে ধীরে আবিষ্কার করছেন দেশের গুপ্তচর ইতিহাসের অজানা ও গোপন অধ্যায়। আর দ্বিতীয়ত, সেই অতীত ইতিহাসের ছায়ায় উঠে আসবে বিশ্বাস, কর্তব্য ও আত্মত্যাগের অনুচ্চারিত মূল্য।
ছবিতে মৌনী রায় যে চরিত্রটি করছেন, তা তার অভিনয় জীবনের অন্যতম শক্তিশালী ও আবেগনির্ভর চরিত্র বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা। ‘নাগিন’ ও ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর মতো ছবিতে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র করে এর আগেই আলোচিত হয়েছেন মৌনী। তবে ‘সালাকার’ হতে পারে তাঁর অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বাস্তবধর্মী ও গভীর পারফরম্যান্স।
এখনও পর্যন্ত সহ-অভিনেতাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে বলিউডে গুঞ্জন রয়েছে, চমকে দেওয়ার মতো পরিচিত মুখ থাকছে এই কাস্টে।
ভারতের জাতীয় দিবসে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবিটি, যার পটভূমি গোয়েন্দা সংস্থা ও গোপন দেশসেবা। এই মিলটাই ছবিটিকে ঘিরে তৈরি করেছে এক আলাদা আগ্রহ। অজিত ডোভালের মতো একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি বছরের পর বছর ছদ্মবেশে থেকে শত্রুপক্ষের ভূখণ্ডে কাজ করেছেন, যাঁর জীবন নিজেই এক রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার, ‘সালাকার’-এ সেই রূপের ছাপই যেন দেখা যাচ্ছে।
ছবিটির টিজার ও পোস্টার প্রকাশ না হলেও, ইতোমধ্যেই তা ঘিরে বলিউড ও দর্শকমহলে তৈরি হয়েছে উচ্চমাত্রার প্রত্যাশা।
‘সালাকার’ হতে চলেছে সেই বিরল ধরনের চলচ্চিত্র, যেখানে দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও রহস্য একসঙ্গে মিশে তৈরি করছে এক গভীর ও স্মরণীয় কাহিনি।
এমআর