ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে বৈবাহিক জীবন নিয়ে প্রশ্নগুলো কীভাবে গ্রহণ করেন- এ ব্যাপারে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, আমার মনে হয়, পার্সোনাল লাইফটা পার্সোনাল থাকা উচিত। এজন্য এটাকে পার্সোনাল বলে। যতটুকু আমি ফিল করি বলার মতো যদি কিছু থাকে, সেটা বলি।
আমার মনে হয়, ফ্যানদের সঙ্গে আমি কখনোই ভালো কোনোকিছু থাকলে সেটা শেয়ার না করে থেকেছি।
এখন পর্যন্ত সেটা ফিল্ম হোক, ভালো কাজ হোক, আমার বিয়ের নিউজ হোক- সবকিছু সময় মতো শেয়ার করতে পছন্দ করি এবং সেটাই করেছি।
নিজের সিনেমা, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ এবং কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। ‘প্রিয় মালতী’ চলচ্চিত্রের গল্পের ব্যাপারে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ২০২৩ এ আমি তখন ভারত ছিলাম, একটা ইভেন্টে অংশ নিতে। আমাদের আরো কো-আর্টিস্টও ছিলেন।
তখন শঙ্খ দাশগুপ্ত ভাইয়ার সঙ্গে দেখা হয়। উনি সিনেমার একটা গল্প বললেন। আমার কাছে আসলে প্রথম ২-৩ মিনিট শুনেই এই গল্পটা দারুণ মনে হয়েছে। পুরো গল্প উনি বলে গেছেন।
তারপর উনি গল্পটা শেষ করলেন। অনেকক্ষণ আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। আমার খুব ভালো লাগে যখন কেউ আমার উত্তর আশা করে। তারা আরো শুনতে চান, আমার ভালো লেগেছে কি না। তাই বললাম, হ্যাঁ, ভালো এটার উপরে ওয়ার্ক করেন।
ভালো কিছু হতে পারে।
তিনি বলেন, তারপর আমরা বাংলাদেশের সবাই চলে এসেছি। এক মাস পরে আবার কল আসছে, তুমি তো বললে ওয়ার্ক করতে। এখন আরো ওয়ার্ক করে বডি তৈরি হয়েছে। কবে শুনবা? তো এরকম করতে করতে আমাদের আসলে এই গল্পের ডেভেলপমেন্ট। আমিও খুব গভীরভাবে জড়িয়ে যাই।
অভিষেক হিসেবে ‘প্রিয় মালতীকে’ বেছে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেক কারণ আছে। কিন্তু আমি যদি এক শব্দে বলতে চাই তা হলো- এই চলচ্চিত্রের গল্প। আমার মনে হয়েছে এ চলচ্চিত্রের চরিত্র ও গল্প খুব দারুণ। এর মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা ছিল তা খুব শক্তিশালী। আমাদের আশপাশে এরকম অনেক গল্প থাকে।
স্ট্রং ক্যারেক্টার, ভালো ডিরেক্টর, ভালো প্রোডিউসার- ফুল প্যাকেজ সবাই খুঁজে। আমার কাছে মনে হচ্ছিল প্রিয় মালতী আসলে এরকমই ফুল প্যাকেজ। যেটা আমার জন্য এবং আমার ক্যরিয়ারের জন্য পারফেক্ট ফিট হবে। আমি আসলে কোনো ফিল্ম নিয়ে এরকম ইন্টারন্যাশলেই ট্রাভেল করা হয়নি। এগুলো সব কিছুই আমার জন্য নতুন এবং আমি খুব এনজয় করা শুরু করেছি। আমার ‘প্রিয় মালতীয’ বেশকিছু ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালসে সিলেক্টেড হয়েছে।
এমআর