একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্যে বিদ্ধ অভিষেক। এমনও ঘটেছে, অভিষেককে দেখে কেউ চিনতেই পারেননি। চিনতে পারার পরেও কোনও উন্মাদনা আসেনি দর্শকের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
অভিনয় সফরের প্রথম থেকেই কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন অভিষেক বচ্চন। বার বার বাবা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হয়েছে তার। ধেয়ে এসেছে তির্যক মন্তব্য। এই নেতিবাচক মন্তব্যগুলি নাকি অভিষেকের মনের উপর প্রভাব ফেলেছে। ক্রমাগত তিনি ভাবতে থাকেন নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে। এমনও ঘটেছে, অভিষেককে দেখে কেউ চিনতেই পারেননি। চিনতে পারার পরেও কোনও উন্মাদনা আসেনি দর্শকের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেক বলেছেন, “কোথাও যাওয়ার পরে হয়তো কেউ চিনতেও পারল না বা ঘুরেও তাকাল না, এমনও ঘটতে পারে অভিনেতাদের সঙ্গে! আমি এক বার একটা হোটেলের লবিতে হেঁটে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কারও মধ্যে কোনও তাপ-উত্তাপ ছিল না। আমি এক জন তারকা, তাই ভেবেছিলাম, মানুষ হয়তো হইচই করবে, এসে স্বাক্ষর চাইবে, ছবি তুলতে চাইবে। কিন্তু সেই দিন কেউই আসেননি। সেই ঘটনাও হজম করে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।”
এই ঘটনা বেশ কয়েক বছর আগের। অভিষেক জানান, ‘ধূম’ মুক্তি পাওয়ার পরে কিছুটা বদল আসে। তাই তার পর থেকে আরও পরিশ্রম করার তাগিদ বেড়ে যায় তাঁর। জীবনের ওঠাপড়ার মধ্যে অভিষেক একটি কথায় বিশ্বাস করেন, ব্যর্থতা থেকেই সাফল্যের শুরু।
অভিনেতাদের সম্পর্কে তিনি আরও বলেছিলেন, “আসলে অভিনেতারা খুব দুর্বল। বাইরে আমাদের দেখে ক্ষমতাশালী মনে হয়। কিন্তু ভিতর থেকে আমরা ভীতু বাচ্চাদের মতো। এরা শুধুই মানুষের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকে।”
অভিষেক মানুষের প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সময়ই আমাকে শিক্ষা দিয়েছে যে, কিছু সময়ে আমরা সত্যিই বোকা হয়ে থাকতে পারি না। বেশি আদর্শবাদী হতে হবে না। কিন্তু এই আদর্শ আমি বিসর্জন দিতে পারব না। সবাইকে আমি খুশি করতে পারব না। ভাল লাগলে থাকুন, না হলে কেটে প়ড়ুন। যে দিন আমি এটা বলব, সেই দিন অভিনেতা হিসেবে আমার মৃত্যু হবে। নিজেকে উন্নত করার কোনও বাসনাই থাকবে না।”