প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্ব নিশ্চিতের পুরো কৃতিত্ব ফুটবলারদের দিলেন কোচ পিটার বাটলার। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ম্যাচ জয়ের নায়ক ঋতুপর্ণা চাকমাকে। পাশাপাশি দেশের ঘরোয়া লিগের মান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন কোচ।
দেশের নারী ফুটবল ইতিহাসে দিনটা সোনার হরফে লিখে রাখার মতো। বাংলাদেশ এখন কতটা পরিণত তা প্রমাণ করেছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই এশিয়ান কাপ ফুটবলের মূল পর্ব নিশ্চিত করে। দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে নারীরা এখন এশিয়ার মঞ্চে। র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারের বিপক্ষে ফুটবলারদের উন্নতির ছাপ ছিল স্পষ্ট।
বাটলার বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের ওপর তাদের পাসিং গেম চাপিয়ে দিতে পারেনি। সব মিলিয়ে বলতে গেলে আমাদের মেয়েরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। দুয়েকবার ওরা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেছে। তবে, আমাদের ফুটবলারা দারুণভাবে রক্ষণভাগ সামাল দিয়েছে। ম্যাচ জয়ের পুরো কৃতিত্ব ওদের। এমন পারফরম্যান্সই আমি চেয়েছিলাম। মাঠে সেটা ওরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। মূল পর্বে উঠলেও আমরা সতর্ক থাকব। শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান হলেও তাদের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের লড়াই করতে হবে।’
ম্যাচ জয়ের নায়ক ঋতুপর্ণাকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাটলার। মধ্যপ্রাচ্য কিংবা উন্নত দেশের লিগে খেলা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। বাটলার বলেন, ‘এটা দুঃখজনক। বাংলাদেশে মানসম্মত লিগ হয় না। তাই ওদের ভুটানে গিয়ে লিগ খেলতে হয়। ঋতুপর্ণা খুবই মেধাবী ফুটবলার। ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ঋতুপর্ণা চাকমাদের মধ্যপ্রাচ্য, সৌদি আরব কিংবা মানসম্পন্ন আরও ভালো দেশের লিগে খেলা উচিত বলে আমি মনে করি।’
মিয়ানমারের বিপক্ষে জোড়া গোল করেও পা মাটিতেই রাখছেন ঋতুপর্ণা। একটা লক্ষ্য নিয়েই মিয়ানমারে এসেছিলেন। সেটা পূরণ হওয়ার পর স্বস্তিতে এই ফুটবলার। শেষ ম্যাচে জয়ের পই উদযাপন করতে চান তারা।
ইউটি/এসএন