জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, রংপুরের গৌরব শহীদ আবু সাঈদসহ শত তরুণ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সকল শহীদ এবং আহতদের কাছে জাতি ঋণী এবং কৃতজ্ঞ। আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে কেউ বেইমানি করবেন না।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আবু সাঈদরা নিঃস্বার্থভাবে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমি ১৪ বছর পর মিথ্যা মামলায় ফাঁসির আসামি হিসেবে জুলুমের শিকার হয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। আমার মত অনেকেই বন্দিশালা থেকে আজ মুক্ত জীবন লাভ করেছে। গণতন্ত্র আজ মুক্ত বাতাস পেয়েছে। তবে এ রক্ত দেওয়ার পর এখনো দেশের তেমন পরিবর্তন হয়নি। এ জন্য ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার এখনই সময়। দেশের জন্য নিঃশ্বার্থভাবে বুকের রক্ত বিলিয়ে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ইসলামসহ ভিন্নমতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে হত্যা, জেল-জুলুমের শিকার করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। আল্লাহ এই জুলুমের পরিণতিতে চব্বিশের বিপ্লবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তাদের পতন ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, রংপুরের গৌরব আবু সাঈদ তার জীবন উৎসর্গ করেছে। এর বিনিময়ে জালিমের পতন ঘটেছে। দেশ-জাতির কল্যাণে সেদিন সে বুক পেতে দিয়েছিল তরুণরা। জালিমরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদেরকে তরুণদের ভুলে যাওয়া যাবে না।
কবর জিয়ারতের পর এটিএম আজাহারুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগমসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে তাদের খোঁজখবর নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও রংপুর জেলা আমির অধ্যাপক মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
কেএন/টিকে