জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনে পেছনে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’ পলিসি কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের মতো একটা ভূখন্ডে আমেরিকার একটা ঘাঁটি দরকার। এখানে কাতার কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো বিশ্বস্ত তাঁবেদার দরকার। গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার সঙ্গে সেই চেষ্টায় তারা আসলে পেরে ওঠেনি। এটা শেখ হাসিনার ভুল বা সঠিক হতে পারে সেটা ভিন্ন বিষয়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে তারা যেভাবে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা ঠিক সেভাবে সাড়া দেয়নি।’
হাসিনাকে সরাতে যেসব এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাঁরা তাদের মুখোশ খুলতে শুরু করেছেন এমনটাই মনে করেন গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন,‘শেখ হাসিনাকে সরাতে যে ডিপ স্টেট পলিসি সেটি ২০১৬ সাল থেকে ক্রমাগত দুটো কাজ একসাথে চালাচ্ছিল। হাসিনার পতন তাদের তাঁবেদার তৈরি করা এবং তাদের ডিপ স্টেট পলিসিকে এই অঞ্চলে চালু করা। রোহিঙ্গা সমস্যা এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে পর্দার আড়ালে যা কিছু হয়েছে, হাসিনা মুখারা রমণীর মত সব কথা বলে দেওয়ায় তারা হাসিনাকে মোটামুটি খরচের খাতায় ফেলে দেয় এবং এই খরচের খাতায় ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি তারা নিয়েছিল ২০২৩ সালে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে যে সকল এজেন্ট নিয়োগ করেছিল, তাদের যে সকল মুখপাত্র ছিল, তাদের মুখোশ সাম্প্রতিক সময় খুলতে শুরু করেছে এবং তাদের অনেক কথা এখন তাদের নিজের মুখ দিয়েই বের করে দিচ্ছে।’
গোলাম মাওলা আরো বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর একটি বছর চলে গেল, এখন নতুন করে ২৫ সালের জুলাই এসেছে এবং এ সময়টিতে অনেক নিত্য-নতুন কথা বের হয়ে যাচ্ছে। যেখানে শেখ হাসিনার পতনের জন্য ‘ম্যাটিকুলাস প্ল্যান’ নিয়ে খুব জোরালো কথাবার্তা হচ্ছে। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতনের পেছনে যে ডিপ স্টেট রয়েছে, তাদের দেনা পাওনা অবশ্যই আছে, সেই দেনা পাওনাগুলো কী? সেই দেনা পাওনাগুলো নিয়ে যা আলোচনা হচ্ছে, যা কথাবার্তা হচ্ছে, সেগুলো তো পিলে চমকানোর মতো। যাদের মধ্যে নূন্যতম দেশপ্রেম আছে, জাতিসত্তা বোধ আছে, মানচিত্রের প্রতি ভালোবাসা আছে, পতাকার প্রতি অনুরাগ আছে, প্রতিটি মানুষের হৃদয় ঠিক বিষাক্ত হয়ে গেছে, প্রতিটি মানুষের হৃদয় ফুটো হয়ে গেছে, সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে।'
আরআর/টিএ