প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বিপাকে পড়েছে খোদ মার্কিন অর্থনীতি। বর্তমান শুল্কহার বহাল থাকলে দেশটির বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৮ হাজার ২৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউট। এতে আরও বাড়তে পারে কর্মী ছাঁটাই। সঙ্গে রয়েছে বিনিয়োগ কমার শঙ্কাও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার পর থেকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একের পর এক দেশের ওপর করছেন শুল্কারোপ। এতে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য।
এই শুল্কারোপের সরাসরি প্রভাব পড়ছে মার্কিন অর্থনীতিতেই। অস্থিরতা দেখা দিয়েছে চাকরির বাজারে, ভাটা পড়েছে বিনিয়োগে, কমেছে ভোক্তা ব্যয়। মার্কিন অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য শুল্কারোপ করা হলেও পরিস্থিতি ঠিক তার উল্টো হয়েছে। বিবিসির তথ্য বলছে, শুধুমাত্র এপ্রিল থেকে মে মাসে খুচরা বিক্রির হার কমেছে প্রায় দশমিক ৯ শতাংশ।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বেড়েছে বেকারত্বের হার। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাটাইয়ের কারণে এই হার ঠেকেছে ৪ দশমিক ২ শতাংশে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান শুল্কহার অব্যাহত থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলোয় বাড়বে কর্মীপ্রতি খরচ। বিনিয়োগকারীদের শঙ্কা ট্রাম্প যদি নতুন করে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করেন, তবে বড় ধাক্কা লাগবে মার্কিন বাজারে।
এদিকে ১ থেকে ১০০ কোটি ডলারের বার্ষিক আয় রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউট পূর্বাভাস দিয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে মাঝারি আকারের মার্কিন কোম্পানিগুলো ৮ হাজার ২৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো বিশেষ করে চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তাই ট্রাম্পের শুল্কনীতি পরিকল্পনায় খুচরা ও পাইকারি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা জেপি মরগানের।
ইউটি/এসএন