তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেছেন, ইন্টারনেটকে একটি অধিকারী হিসেবে নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হতে পারে, তবে কারও উদ্যোগে যদি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আজ রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে তার নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, বিগত সরকারের করা সাইবার সিকিউরিটি আইনে নিবর্তনমূলক যে আইন ছিল সেই আইনগুলোকে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে অধ্যাদেশ আকারে সাইবার সেফটি অর্ডিনেন্স বা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছরের ২১ মে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। আগের আইনের মধ্যে নিবর্তনমূলক যে ধারাগুলো ছিল সেগুলোকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন অধ্যাদেশে অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাইবার অপরাধগুলোকে সামনে আনা হয়েছে। সাইবার স্পেসে জুয়া ও সাইবার বুলিংসহ এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সাইবার অপরাধভুক্ত করা হয়েছে। এসব আইনে জেল-জরিমানা ও অর্থদণ্ডসহ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর নেতৃত্বে এসব কাজ করা হয়েছে। সব ধরনের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। যাতে নিবর্তনমূলক আইনকে বাতিল করতে গিয়ে আর কোনো খারাপ উপমা যাতে দেখতে না হয়।
গোপীনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম, গোপীনাথপুর এলাকার কৃতি সন্তান ইফাদ গ্রুপের পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ খান হেলাল, সিআইডি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের সরকারি কর্মকর্তা, এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচলনা কমিটির সদস্য এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পিএ/ এসএন