এইচএসসি পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ, বহিষ্কার ৪৩ শিক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষক

এইচএসসি পরীক্ষার চতুর্থ দিনে নকলের অভিযোগে ৪৩ পরীক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষককে (কক্ষ পরিদর্শক) বহিষ্কার করা হয়েছে।


আজ সোমবার (৭ জুলাই) দেশের বিভিন্ন বোর্ডের আওতায় অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইংরেজি প্রথম পত্র এবং হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন ও অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষায় এই বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। এদিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ২৪ হাজার ৩০৩ জন শিক্ষার্থী।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর পাঠানো পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

জানা গেছে, আজ ৯টি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে প্রায় ১৭ হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৮৮৯ জন। এছাড়া, কারিগরি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হিসাব বিজ্ঞান নীতি প্রয়োগ-২, রসায়ন-২ এবং অর্থনীতি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৯৯৮ জন।

পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি অনুপস্থিত ছিল রাজশাহী বোর্ডে—২ হাজার ৩২৯ জন (১ দশমিক ৯৪ শতাংশ)। অন্যদিকে অনুপস্থিতির সর্বোচ্চ শতকরা হার ছিল যশোর বোর্ডে, যেখানে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি।

ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫২ জন, অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৪৬৫ জন, যা ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিত ১ হাজার ৬৩৯ জন (১ দশমিক ৮১ শতাংশ), দিনাজপুরে ১ হাজার ৫৫৫ জন (১ দশমিক ৬২ শতাংশ) এবং বরিশালে ১ হাজার ২০৫ জন (২ দশমিক ১০ শতাংশ) পরীক্ষার্থী উপস্থিত হয়নি।

মাদ্রাসা বোর্ডে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় মোট অনুপস্থিতির সংখ্যা ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন ও অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৬৩৩ জন, যার মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে, ঢাকা বোর্ডের অধীনে বিদেশের ৮টি কেন্দ্র থেকেও শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, তবে ওই তথ্য এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।


পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গ্ল্যামার নিয়ে প্রথমদিকে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কোয়েল মল্লিক Nov 15, 2025
img
মেসি-মার্টিনেজের গোলে বছরের শেষটা দারুণ এক জয়ে রাঙালো আর্জেন্টিনা Nov 15, 2025
img
মায়ের ত্যাগ স্মরণ করে আবেগাপ্লুত বোমান ইরানি Nov 15, 2025
img
অভিনেত্রী কামিনী কৌশল আর নেই Nov 15, 2025
img
জামায়াতের শোডাউনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কর্মীর Nov 14, 2025
img
বিয়ে ও মাতৃত্বের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন শেহনাজ গিল Nov 14, 2025
img
ঈদগাহ মাঠের ঘটনার মূল আসামি জরেজুল ইসলাম গ্রেপ্তার Nov 14, 2025
img
১০ লাখ টাকা পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশের পদকজয়ী আর্চাররা Nov 14, 2025
img

ডয়চে ভেলে

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত কেন শক্তি বৃদ্ধি করছে? Nov 14, 2025
img
সংবিধান অনুযায়ী এখন নির্বাচনের কোনো ভিত্তি নেই : গোলাম পরওয়ার Nov 14, 2025
img
মনোনয়ন ইস্যুতে এবার ধানক্ষেতে নবদম্পতির রিভিউ আবেদন Nov 14, 2025
img
এনসিপির আখতারের কী ফাঁস করার হুমকি দিচ্ছেন মাহমুদ? Nov 14, 2025
img
মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ মাদরাসা ছাত্রের Nov 14, 2025
img
চোট নিয়ে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন এমবাপে Nov 14, 2025
img
শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ ডিসেম্বর Nov 14, 2025
img
সৈন্যসংখ্যা বাড়াতে নতুন সামরিক নীতি জার্মান সরকারের Nov 14, 2025
img
১০১১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে এনসিপি Nov 14, 2025
img
প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ ও মশাল মিছিল Nov 14, 2025
img
একটি দল সংস্কার চায় না, তারা পুরোনো কায়দায় দেশ চালাতে চায় : ডা. তাহের Nov 14, 2025
img
পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর, বহিষ্কার ছাত্রদল নেতা Nov 14, 2025