দক্ষিণ কোরিয়া-জাপানের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৭ জুলাই) এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন, এই দুই গুরুত্বপূর্ণ এশীয় মিত্র দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতির কারণেই এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ট্রাম্প জানান, আগামী ১ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে দুটি চিঠি প্রকাশ করেন, যা জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের উদ্দেশে পাঠানো হয়। চিঠিতে তিনি সতর্ক করেন, যদি এই দুই দেশ পাল্টা আমদানি শুল্ক বাড়ায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি শুল্ক আরোপ করবে।

ট্রাম্প চিঠিতে লেখেন, আপনারা যদি কোনো কারণে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আপনারা যত শতাংশ বাড়াবেন, সেটি আমাদের ধার্য করা ২৫ শতাংশের সঙ্গে যোগ হবে। এই কথা তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের উদ্দেশে বলেন।

এই চিঠিগুলো ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান নাটকে এটি আরও একটি পর্ব, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেকে মূল কেন্দ্রে রেখেছেন। ট্রাম্প এই শুল্ক বসানোর জন্য ‘অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলছেন, এই শুল্ক পুরনো বাণিজ্য ঘাটতি ঠিক করার উপায়। তবে অনেক মার্কিন মানুষ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি, ইলেকট্রনিক্সসহ নানা পণ্যকে খুবই পছন্দ করে।

তিনি দাবি করছেন, এই শুল্ক দিয়ে চীনকেও চাপ দেওয়া হবে। তবে অনেকেই বলছেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া— যারা চীনের শক্তির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু— তাদের ওপর শুল্ক বসিয়ে আসলে ট্রাম্প কী সুবিধা পাবেন, সেটি পরিষ্কার নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট উভয় চিঠিতে লেখেন, এই শুল্ক হার আমাদের দেশের সঙ্গে আপনাদের দেশের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাড়তেও পারে, কমতেও পারে। ট্রাম্প এর আগে একসঙ্গে অনেক দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তখন জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।

এফপি/ টিএ   

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ড. ইউনূস ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বপ্ন বিনষ্ট হবে : রাশেদ খান Sep 16, 2025
img
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন Sep 16, 2025
img

মাসুদ সাঈদী

জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন, তাহলে নির্বাচন বর্জনের দরকার হবে না Sep 16, 2025
img
আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ Sep 16, 2025
img
আগস্টে ৪৯ মামলায় জড়িত ৩১১ দুর্নীতিবাজ Sep 15, 2025
img
১৫ কেজির কোরাল মাছ বিক্রি ১৮ হাজারে Sep 15, 2025
img
শ্রীলঙ্কার সামনে হংকংয়ের ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জ Sep 15, 2025
img
নিকুঞ্জে নাগরিক জাগরণ: হারানো শান্তি ফিরে পাওয়ার গল্প Sep 15, 2025
img
সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ, আত্মবিশ্বাসী কোচ Sep 15, 2025
img
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের প্রশংসায় জনাথন ট্রট Sep 15, 2025
img
অসুস্থ অমিতাভকে ২০০ জন ৬০ ব্যাগ রক্ত দিয়েছিলেন Sep 15, 2025
img
অতিরিক্ত ৬ বছরের কারাভোগ শেষে ভারতে ফিরলেন রামাতা Sep 15, 2025
এশিয়া কাপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, সুপার ফোর নিশ্চিত কার? Sep 15, 2025
img
আলোচনা ভেস্তে দিতেই দোহায় হামলা : কাতারি আমির Sep 15, 2025
img
তিস্তা প্রকল্পে আগ্রহী চীন, পাঠাচ্ছে কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল Sep 15, 2025
img
ভাঙ্গায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, ক্ষতিগ্রস্ত ৮ গাড়ি ও ১৯ মোটরসাইকেল Sep 15, 2025
img

কাতারে হামলা

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী Sep 15, 2025
img
দেশবাসী আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন : জামায়াত সেক্রেটারি Sep 15, 2025
img
লেভেল ফোর কোচিং শেষ করলেন মঞ্জু Sep 15, 2025
img
ওমানকে হারিয়ে প্রথম জয় আমিরাতের Sep 15, 2025