ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন দেয়ার সুপারিশ করলেন নেতানিয়াহু

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে সুপারিশ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (৭ জুলাই) হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের সময় নোবেল শান্তি পুরস্কারের সুপারিশপত্রের একটি কপি ট্রাম্পকে হস্তান্তর করেছেন নেতানিয়াহু।

এ সময় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) আমাদের কথায় একের পর এক দেশে, একের পর এক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনার কাছে, প্রেসিডেন্ট.., নোবেল পুরস্কার কমিটিকে পাঠানো আমার চিঠিটি উপস্থাপন করতে চাই। এটি আপনাকে শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে, যা যথেষ্ট প্রাপ্য।’

মনোনয়নপত্র পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, ‘আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এটি আমি জানতাম না - বাহ, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে এসেছে... এটি খুবই অর্থবহ।’

এর আগে নৈশভোজের আগে সাংবাদিকদের কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্বোধনী বক্তব্যের পর, নেতানিয়াহু ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, এটি ইসরাইলি, ইহুদি জনগণ এবং বিশ্বব্যাপী আরও অনেকের দ্বারা প্রশংসিত।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনার নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা এবং প্রশংসা প্রকাশ করতে চাই - কেবল সমস্ত ইসরাইলি নয়, বরং ইহুদি জনগণ এবং বিশ্বজুড়ে অনেক, অনেক ভক্তের।’

দুই রাষ্ট্রনেতার নৈশভোজের শুরুতে ট্রাম্প নেতানিয়াহু এবং তার স্ত্রী সারাকে আতিথ্য দেয়াকে সম্মানের বলে অভিহিত করেন, তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করেন এবং তাদের যৌথ সাফল্যের প্রশংসা করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সাথে বিবি (বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু) এবং সারা থাকা সম্মানের। আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং আমরা একসাথে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছি এবং আমি মনে করি ভবিষ্যতে এটি আরও বড় সাফল্য পাবে।’

এর আগে জুনে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ‘আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন’ দিতে নোবেল কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন বাডি কার্টার নামে মার্কিন এক কংগ্রেস সদস্য।

আরআর/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কাঙ্ক্ষিত আকাঙ্ক্ষার কাছাকাছি যেতে পারিনি: মাহফুজ Jul 08, 2025
img
৩৫ শতাংশ শুল্কে বাংলাদেশ, বাড়ল ভারতীয় টেক্সটাইল শেয়ারের মূল্য Jul 08, 2025
img
কিউইদের জিম্বাবুয়ে সফরে নেই উইলিয়ামসন Jul 08, 2025
img
ক্রিকেটেও রাজত্ব আইপিএলের: এক বছরে ব্র্যান্ড ভ্যালুতে ১২.৯ শতাংশ বৃদ্ধি Jul 08, 2025
img
চার বছর পর আবারও জুটি বাঁধলেন ইমরান-কেয়া পায়েল Jul 08, 2025
img
রুডিগার ও এমবাপ্পেকে আর্থিক জরিমানা করল উয়েফা Jul 08, 2025
img
৩০ কিলোমিটার রিকশা চালিয়ে আখতারের দেখা পেলেন রাজু Jul 08, 2025
img
তারাও আমার ভালো বন্ধু, তামিম ও মুশফিককে নিয়ে বললেন সাকিব Jul 08, 2025
img
হলিউডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয়কারী তারকা স্কারলেট জোহানসন Jul 08, 2025
img
উখিয়ায় ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার Jul 08, 2025
img
প্রশংসা পেলেও চার দিনেই মুখ থুবড়ে পড়ল ‘মেট্রো ইন দিনো’ Jul 08, 2025
img
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড Jul 08, 2025
img
প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই ‘মব কালচার’ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে : রিজভী Jul 08, 2025
img
‘জ্বি, আমি স্বার্থপর’ নায়িকা ইস্যুতে বললেন দীপা খন্দকার Jul 08, 2025
img
কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন অভিনেত্রী ববিতা Jul 08, 2025
img
আমি চাই, আমার বড় বাড়ি হোক, গাড়ি হোক, প্রচুর হীরা থাকুক : কঙ্গনা Jul 08, 2025
img
৫ ডিসেম্বর বক্স অফিসে রণবীর, প্রভাস ও শহীদের মহাযুদ্ধ Jul 08, 2025
img
যারা পিআর চায়, তারাই আসলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়: দুদু Jul 08, 2025
img
মহাকাশযান চালাল চ্যাটজিপিটি, সফল হলো পরীক্ষা Jul 08, 2025
img
জ্বালানি নিরাপত্তায় সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার Jul 08, 2025