‘আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ’ সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠক ইরানের

মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইরান। গতকাল মঙ্গলবার রিয়াদে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি।

আলোচিত ১২ দিনের সংঘাত শেষে গত ২৫ জুন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যায় ইরান। তারপর ৮ জুলাই প্রথমবারের বৈঠক মতো হচ্ছে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে। সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে মূলত ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে ঘিরেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈঠকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সময় ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানানোয় সৌদির সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আব্বাস আরাগচি। অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন— রিয়াদ আশা করছে যে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যকে স্থিতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করবে। পাশাপাশি তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ইরানের সঙ্গে যেসব দেশের বিরোধ আছে— তা কূটনৈতিক পন্থায় সমাধানে সহযোগিতা করবে রিয়াদ।

মূলত পরমাণু প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের দ্বন্দ্বের বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করেছেন সৌদি যুবরাজ। পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ চলার মধ্যেই গত ১২ জুন রাজধানী তেহরান এবং ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সংঘাতের একাদশতম দিনে মাঠে নামে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের তিন শহর ফার্দো, নানতাজ এবং ইসফাহানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়। হামলার পরের দিন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তারপর থেকে সংঘাত থেমেছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে, তবে একই সঙ্গে থেমে আছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংলাপও।

সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং ইয়েমেনের অর্ধেক অংশজুড়ে ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিকে ইরানের সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতাকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সাল থেকে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে রিয়াদের। সমস্যা একপর্যায়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ২০১৬ সালে তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ।

পরে চীনের মধ্যস্থতা ও তৎপরতায় ২০১৩ সালে ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ইরান ও সৌদি।



ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ক্যারিবীয় সাগরে নৌযানে মার্কিন হামলা Nov 15, 2025
img
রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কমিটিতে থাকতে পারবে না: সারজিস আলম Nov 15, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত ২ গ্রুপের সংঘর্ষ Nov 15, 2025
img
দাদাগিরি বন্ধ করে ভারতকে বন্ধুসুলভ আচরণের আহ্বান মির্জা ফখরুলের Nov 15, 2025
img
নিশোকে ঘিরে রহস্যের সমাধান, নতুন মুখ হামজা Nov 15, 2025
img
মাত্র ২৮ দিনের মাথায় মাদারীপুরের ডিসি পরিবর্তন, নতুন দায়িত্বে জাহাঙ্গীর আলম Nov 15, 2025
img
বিএনপির কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ না: সাদ্দাম Nov 15, 2025
img
বিস্ফোরণে পুড়ল আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের বাড়ি Nov 15, 2025
img
আশরাফুল হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল র‍্যাব Nov 15, 2025
img
মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমে যাচ্ছে: আর মাধবন Nov 15, 2025
img
১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো নির্বাচন হলে জাতির চরম দুর্ভোগ হবে: গোলাম পরওয়ার Nov 15, 2025
img
মামদানির প্রশাসনে যোগ দিতে ৫০ হাজারের বেশি আবেদন Nov 15, 2025
img
বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাতেই সম্পর্কের দৃঢ়তা: রণবীর Nov 15, 2025
img
আগামী পাঁচদিন যেমন থাকবে আবহাওয়া পরিস্থিতি Nov 15, 2025
img
গুরুতর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন শুবমান গিল Nov 15, 2025
img
আমি অন্য কারও মতো হতে চাই না: শ্রেয়া ঘোষাল Nov 15, 2025
img
‘সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল না’, সিএনএন-নিউজ এইটিনকে হাসিনা Nov 15, 2025
img
একটি দল ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে : জসিম উদ্দিন Nov 15, 2025
img
শুরু হলো ফারিণের জীবনের নতুন অধ্যায়! Nov 15, 2025
img
জীবনটাই এক ধরণের ‘ছেড়ে দেওয়ার’ অনুশীলন: ইরফান খান Nov 15, 2025