দক্ষিণী সিনেমার উত্থান-পতনের চিরন্তন খেলা আবারও নতুন মোড় নিল পুজা হেগড়ে ও মামিতা বাইজুকে ঘিরে। এক সময় যিনি দক্ষিণের সবচেয়ে পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নায়িকাদের একজন ছিলেন, সেই পুজা হেগড়ে এবার হারালেন ধানুশ অভিনীত এবং ভিঘনেশ রাজা পরিচালিত এক প্রতীক্ষিত ছবির প্রধান চরিত্র।
অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন পুজা, কথাবার্তাও হয়েছিল প্রায় চূড়ান্ত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্মাতারা বেছে নিলেন নতুন প্রজন্মের মুখ মামিতা বাইজুকে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে এই পরিবর্তন হাওয়া যেন এক নতুন বাস্তবতা — এক তারকার হাতছাড়া করা সুযোগ হয়ে ওঠে অন্যের স্বপ্নপূরণ।
মামিতা ইতিমধ্যেই বিজয় ও সুরিয়ার মতো বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করে নজর কেড়েছেন। ধানুশের বিপরীতে এই ছবি তাঁর জন্য এক বিরাট মাইলফলক, যা তাঁকে দক্ষিণের নতুন সেনসেশনে রূপ দিতে পারে। এই অদলবদল প্রমাণ করে, ইন্ডাস্ট্রির খেলা কত দ্রুত বদলে যায়, কতটা নির্দয় হতে পারে।
অন্যদিকে পুজা হেগড়ের সাম্প্রতিক ছবিগুলি বক্স অফিসে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেনি। রাধে শ্যাম, আচার্য, সার্কাস, কিসি কা ভাই কিসি কি জান থেকে শুরু করে রেট্রো — একের পর এক ছবির ব্যর্থতা তাঁর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে। কমেছে অফার, কমেছে ইন্ডাস্ট্রিতে দৃশ্যমানতাও।
তবে সব হারিয়ে গেছে, এমন নয়। পুজার হাতে এখনো রয়েছে বড় বাজেটের কিছু ছবি। রজনীকান্তের সঙ্গে একটি প্রজেক্ট, বিজয়ের বিপরীতে আরেকটি ছবি এবং রাঘব লরেন্সের পরিচালনায় আরেকটি কাজ — এগুলো ঠিকমতো চললে আবারও শীর্ষে ফেরার সুযোগ তৈরি হতে পারে। দক্ষিণের সিনেমায় এমন প্রত্যাবর্তনের গল্প নতুন কিছু নয়, একটা হিটই বদলে দিতে পারে পুরো গল্প।
যেখানে পুজা হেগড়ে লড়াই করছেন নিজের অবস্থান ফিরে পেতে, সেখানে মামিতা বাইজু এই সুযোগকে নিজের স্বপ্নযাত্রার শুরু বানিয়ে নিতে চান। এই ছবিই হতে পারে তাঁর টামিল সিনেমার সবচেয়ে বড় ব্রেক। দক্ষিণী সিনেমার এই পালাবদল আসলে নতুনদের হাত ধরে পরিবর্তনের বার্তা দেয়, যেখানে পরিশ্রম, প্রতিভা আর সঠিক সময়ে সুযোগ কাজে লাগানোর খেলাই শেষ কথা।
আরআর/টিএ