প্রিয়মণি সবসময়ই সাহসী চরিত্র বেছে নেওয়া আর গভীর অভিনয়ের জন্য পরিচিত। এবার তিনি নিজেই জানালেন নিজের স্বপ্নের চরিত্রের কথা—তামিল ভাষায় ‘মানি হাইস্ট’-এর রিমেকে অভিনয় করতে চান তিনি। শুনতে মনে হতে পারে মজা করে বলা কথা, কিন্তু আসলে এ যে একেবারেই সম্ভব, তা তার কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে প্রিয়মণি হেসে বললেন, শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ ছবির চরিত্রটাই নাকি ছিল এক রকম দেশীয় হাইস্ট গ্যাংয়ের গল্প। ছবিতে তিনি ছিলেন এক বিদ্রোহী দলের কৌশলী সদস্য, যেন স্পেনের সেই বিখ্যাত হাইস্ট গ্যাংয়েরই ভারতীয় রূপ।
তিনি খোলাখুলি জানিয়েছেন, ‘মানি হাইস্ট’-এর সব প্রধান নারী চরিত্রের প্রতিই তার আলাদা টান আছে। টোকিও চরিত্রটি তার সবচেয়ে পছন্দের—বেপরোয়া আর গল্পের প্রাণ। আবার রাকেলের মতো সাবেক পুলিশ অফিসার, যার কৌশল আর গভীরতা আলাদা মাত্রা আনে গল্পে—এই চরিত্রও তাকে টানে। তবে সবচেয়ে বেশি মিলে যায় তার নিজের চরিত্রের সঙ্গে নাইরোবি, যিনি দৃঢ়, আবেগপ্রবণ আর দলের জন্য নিজের জীবন দিতে দ্বিধা করেন না। ‘জওয়ান’-এর তার চরিত্রটিকেও তিনি নাইরোবির কাছাকাছি বলে মনে করেন।
প্রিয়মণি আগেও নানা থ্রিলার আর হাইস্টধর্মী প্রোজেক্টে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন। ‘ভামাকলাপম’, ‘চারুলতা’, ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’, ‘জওয়ান’—সবেতেই তিনি ছিলেন শক্তিশালী চরিত্রে। এখনো তিনি ব্যস্ত ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ৩’ আর ‘জননায়গন’-এর মতো নতুন কাজ নিয়ে। স্পষ্ট, জটিল, বিদ্রোহী আর রোমাঞ্চকর চরিত্রে তিনি অসাধারণ দক্ষ।
আর বাস্তবেই কি এমন কিছু হতে পারে? এখন তো ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো আন্তর্জাতিক হিট সিরিজের স্থানীয় রিমেক বানাতে খুবই আগ্রহী। তামিলে যদি ‘মানি হাইস্ট’ হয়, তাহলে প্রিয়মণিকে প্রধান চরিত্রে নেওয়া নিঃসন্দেহে এক সাহসী এবং ব্যবসায়িকভাবে সফল সিদ্ধান্ত হবে।
একবার ভাবুন—প্রিয়মণি লাল জাম্পস্যুট পরে, সলভাদর দালি মাস্ক হাতে, চেন্নাই শহরের কোনো ব্যাঙ্কে হাইস্ট চালাচ্ছেন। টোকিওর আগুন, নাইরোবির দৃঢ়তা আর রাকেলের কৌশল—সবকিছুর মিশেলে দক্ষিণ ভারতের এই রানি হাইস্ট গ্যাংকে অনায়াসে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
এফপি/ এস এন