ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ঢুকে পড়া অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে একটি চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এর আওতায় কাগজপত্রহীন মানুষদের ফ্রান্সে পাঠাতে পারবে ব্রিটেন। বিনিময়ে ফ্রান্স থেকে সম সংখ্যক বৈধ আশ্রয়প্রার্থীকে নেবে দেশটি।
তবে প্রতিবেশি দুই দেশের এই চুক্তি কার্যকর হতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন। এরই মধ্যে ইউরোপের কিছু দেশ এই চুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফ্রান্সের সঙ্গে বিশেষ এই চুক্তিতে পৌঁছায় যুক্তরাজ্য।
চুক্তির আওতায় নতুন পাইলট স্কিমের আওতায় যুক্তরাজ্য কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছোট নৌকায় করে আসা কাগজপত্রহীন মানুষদেরকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো শুরু করবে। বিনিময়ে যুক্তরাজ্য ফ্রান্স থেকে সমসংখ্যক বৈধ আশ্রয়প্রার্থীকে নেবে—যাদের ব্রিটিশ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় উভয় দেশই তাদের অভিবাসন ব্যবস্থা আরও কঠোর করছে। যুক্তরাজ্যে শুরু হচ্ছে অবৈধ কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযান। বায়োমেট্রিক কিট ব্যবহার করে অভিবাসন দপ্তর মাঠ পর্যায়ে তাৎক্ষণিক পরিচয় শনাক্ত করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার এই চুক্তি কার্যকর হতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন। কারণ এতে ইউরোপজুড়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চলাচলে প্রভাব পড়তে পারে। এরইমধ্যে ইউরোপের কিছু দেশ এই চুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে ২১ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী, যা গেল বছরের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি। এই চুক্তিকে তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও মানবপাচার ব্যবসায় ধস নামাতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছে যুক্তরাজ্য ও ফরাসি সরকার।
আরআর/টিকে