শাশুড়ি-বউমার তিক্ততা নতুন কিছু নয়। প্রায় বেশিরভাগ গৃহস্থ বাড়িতে সেকথা শোনা যায়। তারকারাও ব্যতিক্রম নয়। বি-টাউনে কান পাতলে শোনা যায়, পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া এবং শাশুড়ি জয়ার সম্পর্কও নাকি মিষ্টিমধুর নয়। বেশ তিক্ততা রয়েছে তাঁদের। এমন শোনা যায়, সে কারণেই নাকি বচ্চন পরিবারে সুখের দাম্পত্য হল না প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীর। এই কাটাছেঁড়ার মাঝে ভাইরাল জয়ার পুরনো এক সাক্ষাৎকার। বউমাকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন জয়া।
করণ জোহরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া পুত্রবধূকে নিয়ে বলেন, “ও খুব ভালো। আমি ওকে ভালোবাসি। আমি ওকে সবসময় ভালোবাসি।” বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হিসাবে ঐশ্বরিয়াকে নির্বাচন সঠিক সিদ্ধান্ত? উত্তরে জয়া বলেন, “আমি মনে করি অসাধারণ সিদ্ধান্ত। ও নিজেও একজন সফল তারকা। সকলে আমরা যখন একসঙ্গে থাকি তখন ও নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে না। আমি ওর গুণের প্রশংসা করি। পরিবারের সকলের পাশে থাকে। ও জানে কে পারিবারিক বন্ধু আর কে নয়।” অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বরিয়া মানানসই? জয়ার উত্তর, “হ্যাঁ, আমিও সেরকম মনে করি।”

প্রসঙ্গত, গত ২০০৭ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। ২০১১ সালে বচ্চন পরিবারের আসে নতুন সদস্য। ঐশ্বরিয়ার কোল আলো করে আসে আরাধ্যা। কয়েক বছর যেতে না যেতেই বিচ্ছেদের গুঞ্জনে ভারী হয়ে ওঠে বি-টাউন। বলিপাড়ার অলিগলিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল মনখারাপ করা খবর। শোনা গিয়েছিল নাকি সেলেব দম্পতির জীবনের পথ আলাদা হতে চলেছে। একাধিক অনুষ্ঠানে একসময় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাঁদের। শুধুমাত্র মেয়ে আরাধ্যার সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল ঐশ্বরিয়াকে। টানাপোড়েনের মাঝে অবশ্য বিবাহবার্ষিকীতে মিষ্টি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া। মুম্বইয়ের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যোগদানও করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। কানে মাথা ভর্তি সিঁদুর নিয়ে হাজির হন প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী। তাতেই বিচ্ছেদ জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। পরে অভিষেকও বিচ্ছেদ জল্পনায় মুখ খোলেন। বুঝিয়ে দেন নিন্দুকরা যে যাই বলুন না কেন সম্পর্কে কোনও ছেদ নেই তাঁদের।
আরআর