চার দশকের দাম্পত্যজীবন। ১৯৮৫ সালে কিরণ খেরকে বিয়ে করেন অভিনেতা অনুপম খের। দীর্ঘ এই সম্পর্কের নানা ওঠাপড়া নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘এটা বলছি না যে আমার বিয়ে বিশ্বের সেরা বিয়ে। আমি কিরণকে কষ্ট দিয়েছি।’’
পাশাপাশি জানালেন, দাম্পত্যের ক্ষেত্রে ‘কম্প্যাটিবিলিটি’ বা মানানসই হওয়ার ধারণাটিকে তিনি অনেকটাই ‘ওভাররেটেড’ বলে মনে করেন।
রাজ শামানির একটি পডকাস্টে এসে অনুপম খের বলেন, “প্রেম আজকের দিনে সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর অনুভূতি। আপনি কারও সঙ্গে থাকেন বা লিভ-ইনে থাকেন, কারণ আপনি সেই মানুষটিকে চিনতে চান। কিন্তু তাতে বিস্ময়ের জায়গা থাকে না।”
তার পরামর্শ, “আপনি যদি কাউকে ১০-২০ শতাংশের মতো নিজের মনের মতো মনে করেন, বিয়েটা করে ফেলুন। পরে বাকিটা ধীরে ধীরে আবিষ্কার করুন।”
‘কম্প্যাটিবিলিটি খুঁজে লাভ কী?’ প্রশ্নও ছুড়ে দেন অনুপম। বলেন, “আমার মা-বাবা বা আপনারা যাদের মা-বাবা বহু বছর ধরে বিবাহিত, তারা কি আগে মানিয়ে নেওয়ার হিসেব কষে নিয়েছিলেন?”
তার মতে, মানুষ যেরকম, তাকে সেভাবেই গ্রহণ করতে শেখা উচিত।
নিজের দাম্পত্য প্রসঙ্গে অনুপম বলেন, “জীবনে ব্যর্থতা থাকবেই, সেটা মেনে নিয়েছিলাম বলেই আজ সফল আমি। শুধু পেশাগত নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও।”
একটু থেমে আরও যোগ করেন, “সম্পর্কে ক্লান্তি আসেই। এক সময়ে ‘আগুন’ নিভেও যেতে পারে। কিন্তু থেকে যায় স্মৃতি, থেকে যায় সেই সম্পর্কটিকে আগলে রাখার ইচ্ছে। আমি জানি, আমি কিরণকে কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু কখনও সম্মান, সহমর্মিতা বা আবেগের জায়গা হারাইনি।”
এই সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, এখন মাঝেমাঝেই তার মনে হয়, কিরণের সঙ্গে তার যদি একটি সন্তান থাকত!
তার কথায়, ‘‘আগে এসব তত ভাবতাম না। তবে গত সাত-আট বছর ধরে মাঝেমধ্যে মনে হয় সন্তান বড় হওয়ার যে আনন্দ, সেটা বোধ হয় মিস করেছি। যদিও এটা আমার জীবনের কোনও ট্র্যাজেডি নয়’’।
প্রসঙ্গত, কিরণ খেরের প্রথম পক্ষের স্বামী ছিলেন ব্যবসায়ী গৌতম বেরি। তাদের একমাত্র সন্তান শিখর খেরকে দত্তক নিয়েছিলেন অনুপম।
পিএ/টিএ