ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কাবু হয়ে ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে ভর করতে হয়ে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরান যেকোনো ধরনের নতুন হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে ১২ দিনের সামরিক সংঘাতে ইরানের আত্মবিশ্বাস, সামরিক শক্তি আর জনগণের ঐক্যের ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। তেহরানে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি বলেন, এ যুদ্ধ ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের একা লড়ার অক্ষমতা প্রমাণ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তেহরানের একের পর এক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সামলাতে ব্যর্থ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আকড়ে ধরতে বাধ্য হয় ইসরাইল। নেতানিয়াহু প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে। দিন যত যাবে, ততই ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন,
ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের মরণঘাতি ক্যানসারে পরিণত হয়েছে। আর যারা তাদের অপকর্মকে সমর্থন করে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা, তাদের আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। ইরান যুদ্ধ শুরু করেনি। তবে যখন আমাদের ওপর হামলা করা হয়, সেই হামলার বিধ্বংসী জবাব দিয়েছি।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য মতে, যুদ্ধের সময় ইরান নতুন কৌশলে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ড্রোন, হাইপারসনিক অস্ত্র এবং ছদ্মবেশী স্ট্রাইক ব্যবহার করে তারা ইসরাইলের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা ভেদ করতে সক্ষম হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ যত বাড়ে, ইরানের আঘাত তত বেশি নিখুঁত হয়। ২২ জুন ইরানের সবচেয়ে সফল হামলায় ১০টি মিসাইল তেল আবিবে আঘাত হানে বলে জানায় গণমাধ্যমটি।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরদিনই সড় রদবদল আসে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে। বরখাস্ত করা হয় বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধানকে, আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন নতুন কমান্ডার। সামরিক শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়াসে ইসরাইলি বাহিনী এই পদক্ষেপ নেয় বলে জানা গেছে।
এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে উৎখাত করে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে। ইরান ইন্টারন্যাশনালে দেশটির সাবেক এক রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, ইসলামি বিপ্লবের অবসান ঘটিয়ে ও খামেনির শাসন শেষ করে একটি ‘নতুন যুগ’ শুরু এবং আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছেন পেজেশকিয়ান।
কেএন/এসএন