অফিসিয়াল পোস্টার বা ট্রেলার আসেনি এখনও, শুটিং চলছে পুরোদমে, তবুও প্রভাসের ‘রাজাসাব’ ইতিমধ্যেই বাজিমাত করেছে আয়ের দিক থেকে। মুক্তির আগেই ছবিটির বিক্রি হয়েছে রেকর্ড দামে, যা পৌঁছেছে প্রায় ১৮০ থেকে ২১০ কোটি রুপির ঘরে। দক্ষিণ ভারতের চলতি বাজারে এমন অঙ্ক অভাবনীয়, বিশেষত কোনো ছবি এখনও প্রযোজনার মাঝপথে থাকলে। কিন্তু প্রভাস মানেই তো আলাদা উত্তেজনা, আলাদা প্রত্যাশা।
ছবিটি পরিচালনা করছেন মারুতি, যিনি এর আগে মূলত পারিবারিক গল্প আর হালকা হাসির ছবি নির্মাণ করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রযোজনায় পিপলস মিডিয়া ফ্যাক্টরি। তবে ‘রাজাসাব’-এর মাধ্যমে মারুতি এবার প্রভাসকে একেবারে নতুনভাবে হাজির করতে চলেছেন একসঙ্গে ভয়, হাসি, রোমান্স আর পুরনো দিনের অ্যাকশন নিয়ে তৈরি হচ্ছে এক ভিন্নধর্মী বিনোদন।
মারুতির এই ছবিতে প্রভাসের চরিত্রটি হবে সম্পূর্ণ নতুন রূপে। এর সঙ্গে থাকবে থামান-এর সুরারোপ, যার ওপর দক্ষিণ ভারতীয় বাণিজ্যিক ছবির শ্রোতারা বরাবরই ভরসা রাখেন। সব মিলিয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর ‘রাজাসাব’ মুক্তি পেলে সেটা কেবল প্রেক্ষাগৃহেই নয়, সামাজিক মাধ্যমেও বড়সড় আলোচনার জন্ম দেবে এমনই ধারণা বলিপাড়ায়।
বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের ছবিগুলো শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও বড় প্রভাব ফেলছে। প্রভাসের ‘বাহুবলী’ কিংবা ‘আদিপুরুষ’ যেমন প্রশংসিত ও সমালোচিত দুইই হয়েছে, তেমনই ‘রাজাসাব’ নিয়ে এখনই তৈরি হয়েছে বড় প্রত্যাশার চাপ। প্রশ্ন একটাই, এই ছবির প্রেক্ষাপট কি প্রভাসকে ফের তাঁর হারানো অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারবে?
কেএন/এসএন