ভোট দেওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে নামিয়ে ১৬ করছে যুক্তরাজের সরকার। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
ভোট দেওয়ার ন্যূনতম বয়স কমানোর প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনে সামরিক বাহিনীতে আবেদন করার জন্য ন্যূনতম বয়স ১৬ বছর হতে হয়।
আগামী নির্বাচন থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ব্রিটেনে আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভূক্ত দুই রাজ্য স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ১৬ বছর বয়সী নাগরিকদের ভোট প্রদান করতে দেওয়া হয়েছে এবং তা সফলও হয়েছে। সেই সাফল্যের ভিত্তিতেই জাতীয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত নিলো লন্ডনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি সরকার।
আগামী নির্বাচন উপলক্ষে ভোট দানের জন্য ন্যূনতম বয়স সংশোধনের পাশাপাশি আরও কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। যেমন- ভোটারদের জন্য নতুন আইডি কার্ড প্রণয়ন করা হচ্চে, যেখানে ভোটারদের ব্যাংক হিসাব নম্বর এবং বয়স্ক নাগরিকদের বেলায় তাদের জন্য বরাদ্দ কার্ডের নম্বর যুক্ত থকবে। এছাড়া নির্বাচনকে ঘিরে বাইরের কোনো দেশের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং প্রার্থীদের হয়রানি রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের প্রস্তুতিও চলছে জোরেশোরে।
এছাড়া ভোটারদের নিবন্ধনের ব্যাপারটিকেও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। আগামী ২০২৯ সালে যারা ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন- তাদের সবার নাম নিবন্ধন হবে অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রায়নার দ্য গার্ডিয়ানকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি যে আমাদের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের এসব সংস্কার পদক্ষেপের প্রধান লক্ষ্য হলো ব্রিটেনের গণতন্ত্রের সঙ্গে জনগণকে আরও বেশি সংযুক্ত করা।”
“গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থায় বর্তমানে যেসব খুঁত রয়েছে, সেসব দূর করা সম্ভব হলে যে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে এবং আমরা মনে করি যে এমনটা ঘটলে আমারেদ সমাজের ভিত্তি ও ভবিষ্যৎ- উভয়ের জন্যই সেটি মঙ্গলজনক হবে।”
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
টিকে/