আগস্টে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি চূড়ান্ত থাকলেও ওয়ানডে সিরিজটি নিয়ে দুই বোর্ডের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। দুই পক্ষ সম্মতিতে পৌঁছাতে না পারলে পাকিস্তানের আসন্ন এই সফর থেকে ওয়ানডেই বাদ দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূচি অনুযায়ী, আগামী ১, ৩ ও ৪ আগস্ট ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। এরপর ৮, ১০ ও ১২ আগস্ট ত্রিনিদাদের তারোবার মাঠে হওয়ার কথা তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চাইছে, ওয়ানডেগুলোকে টি-টোয়েন্টিতে রূপান্তর করতে।
কারণ সামনেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ — যা তাদের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে কাজে লাগবে। পিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (সিডব্লিউআই) এখন পর্যন্ত তাদের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণে কিছুটা ক্ষুব্ধ পিসিবি।
পিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকেট পাকিস্তানকে জানিয়েছেন, 'পিসিবি ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল ওয়ানডেগুলোকে টি-টোয়েন্টিতে রূপান্তরের জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো জবাব দেয়নি বা বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকতারও পরিচয় দেয়নি।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তানকে হারানোর ভালো সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে — যা তাদের র্যাংকিং উন্নত করতে সহায়তা করবে। বর্তমানে ওয়ানডেতে পাকিস্তান রয়েছে চতুর্থ স্থানে, অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রয়েছে নবম স্থানে। তাদের জন্য র্যাঙ্কিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে হলে শীর্ষ আটে থাকতে হবে দলগুলোকে। আয়োজক সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে ছাড়া বাকি দলগুলোকে এই শীর্ষ আটে থাকতে হবে সরাসরি কোয়ালিফাই করতে। বাকিদের লড়তে হবে বাছাই পর্বে। এক সময়ের ওয়ানডে ক্রিকেটে দাপট দেখানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১৯ এবং ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের জন্য বাছাই পর্বে খেলতে বাধ্য হয়েছিল।
এমনকি ২০২৩ আসরে তো তারা কোয়ালিফাইই করতে পারেনি। তাই তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি খেলতে মরিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট প্রশাসকরা বিশ্বাস করেন, শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে বেশি ওয়ানডে খেলার সুযোগ তাদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি এনে দিতে পারে এবং ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাইয়ের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দিতে পারে।
এসএন