প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে রাশিয়ার সামরিক হামলার পর সরকারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশটিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাদের নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ইউক্রেনের পার্লামেন্টের অনুমোদনের পর ইউলিয়া সুভরিদেঙ্কো দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ৩৯ বছর বয়সি ইউলিয়া ২০২০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ডেনিস স্যামিহালের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
গত ১৪ জুলাই ইউলিয়াকে নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান জানান ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই দিন তিনি ডেনিস স্যামিহালকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব দেন।
ইউলিয়া এর আগে ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন এবং কিয়েভের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে তার ভূমিকা ছিল। এটি ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে প্রাথমিক শীতল সম্পর্ক কাটাতে সহায়তা করে।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর সুভরিদেঙ্কো বলেন, তিনি ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ অস্ত্র উৎপাদন এবং এর সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি সম্প্রসারণ এবং অর্থনীতিকে সহায়তা করার দিকে নজর দেবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার এমন একটি ইউক্রেন গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা তার নিজস্ব সামরিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে। আমার মূল লক্ষ্য হলো বাস্তব ও ইতিবাচক ফলাফল, যা প্রতিটি ইউক্রেনীয় দৈনন্দিন জীবনে অনুভব করবেন। যুদ্ধের কারণে আমাদের কোনো বিলম্বের সুযোগ নেই। আমাদের দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক কাজ করতে হবে।’
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্যামিহাল ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। বর্তমানে এই মন্ত্রণালয় একাধিক দুর্নীতির কেলেঙ্কারির মুখে পড়েছে।
আল জাজিরা বলছে, ৫০ বছর বয়সি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা তার পদে বহাল থাকছেন। তবে জেলেনস্কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ৩৯ বছর বয়সি বিদায়ী আইনমন্ত্রী ওলগা স্টেফানিশিনাকে মনোনীত করেছেন। তার নিয়োগ মার্কিন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। স্টেফানিশিনার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে সাম্প্রতিক খনিজ চুক্তির আলোচনায় ভূমিকা রেখেছেন।
কেএন/এসএন