আ. লীগ কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে? : মোস্তফা ফিরোজ

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, রাজনীতির অঙ্গনে একটা বড় বিতর্ক হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ কি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না? এখন পর্যন্ত যে অবস্থা তাদের নিবন্ধন নেই, বিচার পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। তার মানে নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এখনো নিষিদ্ধ হয়নি। নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।

যেমন জামায়াতেরও একসময় স্ট্যাটাস ছিল যে, দল নিষিদ্ধ হয়নি, কিন্তু নিবন্ধন বাতিল, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। অনেকটা তেমনই।

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তাতে তিনি এসব কথা বলেন।

ফিরোজ বলেন, নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেলে একটি দল অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ হয়; যেমনটি ছিল জামায়াত।

জামায়াতের সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগের তুলনা করা হয় তাহলে আওয়ামী লীগও নিষিদ্ধ। তবে তার শক্তি আছে এবং তারা সেই শক্তিমত্তা দেখাচ্ছে, কার্যক্রম করছে; যেটা জামায়াতও করত।

ফিরোজ আরো বলেন, ভারত বলছে যে, সবার অংশগ্রহণে তারা নির্বাচন চায়, ইঙ্গিতটা পরিষ্কার যে, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে হবে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নির্বাচন বিষয়ে তাদের রাষ্ট্রদূতরা কোনো কথা বলতে পারবে না।

যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বা তাদের পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে যে, এ বিষয়ে কথা বলার দরকার তখন তারা সেই বক্তব্য দেবে বা তাদের রাষ্ট্রদূতরা কথা বলবে।

তৃতীয় মাত্রার জিল্লুর রহমানের টক শোর কথা টেনে ফিরোজ বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াতের যে ভূমিকা ছিল সেটার জন্য তারা দুঃখিত বা ক্ষমাপ্রার্থী এমন কোনো বয়ান দেয়নি। বরং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আছে, ওই সময় তারা পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে, মন্ত্রিসভায় ছিল। একইভাবে প্রশ্ন আসে যে, আওয়ামী লীগও অনুশোচনা করেনি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে সেটার ব্যাপারে। সুতরাং তারাও কেন পারবে না?

আনিস আলমগীরের কথা টেনে ফিরোজ আরো বলেন, ৩০ ভাগ মানুষ যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে থাকে তাহলে তাদেরকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কি সম্ভব? এটা কি গ্রহণযোগ্যতা পাবে? তারা কোথায় ভোট দেবে? তারা তো তাদের দলকেই ভোট দিতে চাইবে।

গণতান্ত্রিক এটা অধিকার। সেই অধিকারকে কি বঞ্চিত রাখা যাবে?



 পিএ/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক ৩ Nov 13, 2025
img
দেশ ও জাতীয় স্বার্থে জোটবদ্ধ নির্বাচনের পথও খোলা : আখতার Nov 13, 2025
img
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে গ্রেপ্তার ৪২ Nov 13, 2025
img
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন Nov 12, 2025
img
ময়নাতদন্তের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুকালে গর্ভবতী ছিলেন মডেল খুশবু Nov 12, 2025
img
গান গেয়ে সমালোচনার মুখে অভিনেত্রী পরীমণি Nov 12, 2025
img
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের বগিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা Nov 12, 2025
img
জামায়াতে ইসলামি কোনদিনও এই দেশের মঙ্গল চায়নি: ইকবাল হাসান টুকু Nov 12, 2025
img
'এখানেই স্বর্গ আছে, যা উপভোগ করতে হবে' Nov 12, 2025
img
সিলেটে বিটিসিএলের পরিত্যক্ত ২ টি গুদামে আগুন Nov 12, 2025
img
হামজার সঙ্গে খেলতে অধীর আগ্রহী নেপালি ফুটবলাররা Nov 12, 2025
img
শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু Nov 12, 2025
img
এবার হীরাবেন মোদির চরিত্রে দেখা যাবে রাভিনা ট্যান্ডনকে Nov 12, 2025
img
মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সানিয়ার মানসিক অবস্থা নিয়ে খোলামেলা বললেন ফারাহ Nov 12, 2025
img
শেষ সিনেমা দিয়ে থালাপাতি বিজয়ের আবেগঘন বিদায় Nov 12, 2025
img
পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণে টিএসসি এলাকায় চাঞ্চল্য Nov 12, 2025
img
নাটোরে পুতুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল Nov 12, 2025
img
এবার নতুন চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করতে চলেছেন ভাগ্যশ্রী বরসে Nov 12, 2025
img
ভেঙে গেল মেসির বার্সেলোনায় ফেরার স্বপ্ন! Nov 12, 2025
img
রাজধানীর তেজগাঁও রেললাইনে আগুন, আটক ২ Nov 12, 2025