দুই-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই : শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা বাস্তবিক অর্থে কারও কোনো প্রভুত্ব মানব না। আমাদের প্রভু একমাত্র আল্লাহ। এমনকি আমরা কারও বড় ভাইগিরি মানবো না। দেশে সমমর্যাদার ভিত্তিতে আমরা সকলের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবো।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, এখানে প্রতিবেশীরা অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু কোনো প্রতিবেশী যদি অব্যাহতভাবে আমাদের অধিকার হরণ করতে চান, তাহলে এই দেশের একসাথে ১৮ কোটি মানুষ রুখে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের অধিকার কারও কাছে বন্ধক রাখবো না। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কেউ নাক গলান সেটিও আমরা চাইবো না।আমরা তাদেরকেও মর্যাদা দেব, আমরাও মর্যাদা চাই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়তে হবে।

জামায়াত আমির বলেন, যদি মৌলিক সংস্কার না হয় এবং আগের মতো নির্বাচন হয় তবে সেই নির্বাচন জাতির জন্য ব্যথা এবং দুঃখের কারণ হবে। আমরা এটি দেখতে চাই না এবং আমরা এটি হতে দিতেও পারি না। এজন্য দরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার আর অপরাধীদের বিচার।

তিনি বলেন, আমরা জানি এই সময়ের মধ্যে সব বিচার করা সম্ভব নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার ও বিচার বিভাগের আন্তরিকতা দেখতে চাই। আমরা দৃশ্যমান কিছু দেখতে চাই। দুই-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার আমরা দেখতে চাই। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের নৈতিক দায়িত্ব হবে এই বিচারকে চালিয়ে যাওয়া। যদি কেউ ধানাইপানাই করেন, তাহলে মনে রাখবেন যুবকরা কাউকেই ছাড় দেবে না।

শফিকুর রহমান বলেন, দেশের যুব সমাজ যখন দাঁড়িয়ে থাকে এই দেশ তখন হারিয়ে যায় না। এই জাতি পথ খুঁজে পায়, মুক্তির পথ। আমরা আমাদের যুব সমাজকে নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমরা এই যুব সমাজকে অন্তরের মধ্যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় লালন করি। শ্রদ্ধা এই কারণে যে জাতির মুক্তির জন্য আমরাও লড়াই করেছি, কিন্তু ফিনিশিং হয়েছে তাদের হাতে। তারা এই শ্রদ্ধা পাবে, এটি তাদের পাওনা। আমরা সেটি তাদের দিয়ে যাব।

জামায়াতের আমির বলেন, একটা যুদ্ধ হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে। দেশবাসীকে নিয়ে আরেকটা যুদ্ধ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং এই যুদ্ধেও বাংলাদেশের মানুষের জয় হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আমির মখলিছুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দী, জামিল আহমদ রাজু, শামীম আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

আমিরাতে ভিসা বন্ধ, ধসে পড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ট্যুরিজম সাম্রাজ্য! Jul 26, 2025
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই প্রযুক্তি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ Jul 26, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবিগুলো তাসনিয়া ফারিণের নয় Jul 26, 2025
img
দিয়াগো জোতার স্মরণে অ্যানফিল্ডে স্থায়ী ভাস্কর্য Jul 26, 2025
আমেরিকার প্রযুক্তি জায়ান্টদের ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি Jul 26, 2025
img
৬০ কেজি গাঁজাসহ ছয় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Jul 26, 2025
img
মানবাধিকারকে একটি সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, শুধু আইনে হবে না : আসিফ নজরুল Jul 26, 2025
img
ইরানে বিচার বিভাগের ভবনে হামলা : নিহত বেড়ে ৮ Jul 26, 2025
img
রোববারও বন্ধ মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার Jul 26, 2025
img
দেবের মাথায় কালো রঙের গুচি টুপি, দাম জানলে চমকে যাবেন! Jul 26, 2025
img
দুই শিক্ষার্থীকে রিলিজ দেওয়া হচ্ছে, ভর্তি আছে ৩৬ জন : বার্ন ইনস্টিটিউট Jul 26, 2025
img
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৪১ জন Jul 26, 2025
img
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘন্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩১ Jul 26, 2025
img
ওয়াকফ এস্টেটগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে : ধর্ম উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
এনবিআর ভাগ করলেই সমস্যার সমাধান হবে না : এনবিআর চেয়ারম্যান Jul 26, 2025
img
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক শামসুল আলম আর নেই Jul 26, 2025
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চাপের মুখে স্টারমার! ২২১ এমপির যৌথ চিঠি Jul 26, 2025
img
এক বিয়ের বরযাত্রী খেয়ে ফেলল অন্য বিয়ের খাবার Jul 26, 2025
img
হানিমুনে কোথায় গেলেন রাজীব-মেহজাবীন Jul 26, 2025
img
ভাড়া করা লোক দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না : মির্জা ফখরুল Jul 26, 2025