উওরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান আছড়ে পড়ার পাঁচ দিন হলেও এখনও বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে কোমলমতি শিশুদের চিৎকার। প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি দেখতে ভিডি করছেন উৎসুক মানুষ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে পোড়া ভবনটি দেখতে আসছেন মানুষ। প্রথমে চার-পাঁচ জন করে ভেতরে ঢুকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে দলে দলে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। সেইসঙ্গে মোবাইলে ধারণ করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের স্থির চিত্র ও ভিডিও চিত্র।
এদিকে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আজ দগ্ধ আরেক শিশু আইমান (১০) মারা গেছে। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ জনে। হাসপাতালে এখনও ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। এদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে আগামীকাল শনিবার থেকে ছাড়পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর দিন আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৫ হলেও, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে তথ্যগত ঘাটতির কথা জানিয়ে হালনাগাদ করা রিপোর্টে ৩২ জন নিহতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই শিশু। এছাড়া বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট তৌকির, মাইলস্টোনের দুজন শিক্ষক, দুজন অভিভাবকও রয়েছেন।
এমকে/এসএন