আমেরিকান প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস প্রথমবারের মতো জাতীয় বক্সিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া ৩১তম জাতীয় সিনিয়র পুরুষ ও ৭ম জাতীয় মহিলা বক্সিং প্রতিযোগিতায় খেলবেন এই প্রবাসী বক্সার।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান প্রবাসী জিনাত ফেরদৌস ভালো মানের বক্সার। আমেরিকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বক্সিং প্রতিযোগিতায় তার স্বর্ণপদক জয়ের কৃত্তিত্ব রয়েছে। ২০২৩ সালে হাংজু এশিয়ান গেমসে তিনি বাংলাদেশের হয়ে প্রথম প্রতিনিধিত্ব করেন। যদিও সেই গেমসে তিনি প্রত্যাশার পুরোটা পূরণ করতে পারেননি।
জিনাত ফেরদৌসের জাতীয় বক্সিংয়ে অংশগ্রহণ সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস বলেন, 'জিনাত গুডউইল ক্লাবের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। ৫২ কেজি ওজন শ্রেনীতে খেলবেন তিনি। বাংলাদেশে এটি তার প্রথম অংশগ্রহণ হবে। সাম্প্রতিক সময়ে তার আন্তর্জাতিক সাফল্যের জন্য ৩০ জুলাই প্রতিযোগিতার সমাপনী দিন তাকে সম্মাননা জানানো হবে।' গুডউইল ক্লাবই জিনাতের আসা-যাওয়া ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় বহন করছে।
ফেডারেশনের অধিভুক্ত বেশ কয়েকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা, অনুমোদিত ক্লাবগুলো জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। চট্টগ্রাম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন বিদেশি বক্সারের এন্ট্রি নিয়েছিল ফেডারেশন। জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিদেশি নাগরিক কেন এবং কোনো ফেডারেশনের জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিগত সময়ে বিদেশি খেলতে দেখা যায়নি এমন প্রশ্ন সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত হলে ফেডারেশন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়, 'বিদেশি কেউ খেলতে পারবে না এটা আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেব।'
বক্সিং ফেডারেশনের নতুন কমিটির অধীনে এটিই প্রথম জাতীয় বক্সিং। জাতীয় বক্সিংয়ের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করতে গিয়েই ফেডারেশন বড় অব্যবস্থাপনার জন্ম দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ছিল জাতীয় স্টেডিয়াম। সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে জানতে পারে ফেডারেশনে অনুষ্ঠান। ফেডারেশনে সভাপতির ছোট্ট কক্ষে একেবারে গাদাগাদি করে সম্মেলন হয়েছে। একটু বিলম্ব করে আসা সাংবাদিকরা আর কাভার করার সুযোগ পাননি। উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এমন পরিস্থিতি হলে জাতীয় বক্সিং ব্যবস্থাপনা কেমন হয় সেই প্রশ্ন ইতোমধ্যে উঠেছে।
এমকে/টিএ